ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুমিল্লাকে সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি নিয়ে যাবো: বিএনপি নেতা Logo গাজীপুরে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন Logo ছাত্রীদের ‘যৌনকর্মী’সম্বোধন, ছাত্রদল নেতার:মধ্যরাতে রাবিতে বিক্ষোভ Logo যদি আপনারা সতর্ক না হন, ছাত্রসমাজ আপনাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না: শিবির নেতা তারেক আজিজ Logo বিএনপি নেতা জালাল পিপি হওয়ার পর থেকে আ. লীগ নেতাদের জামিন হচ্ছে-ভিপি কামাল Logo আজ টিভিতে যে খেলা দেখবেন Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ একত্রিত করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইদ্রিস মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত Logo কর্ণফুলীতে বিষপানের ১৭ দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু Logo মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে গড়ে উঠবে এক নতুন শহর: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচনের প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট বিতরণ বন্ধের দাবি

নির্বাচনের প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট বিতরণ বন্ধের দাবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় সিগারেট, বিড়ি, গুল, জর্দাসহ সকল তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ ও ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে ১৫ তামাকবিরোধী সংগঠন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর পক্ষে প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) মিডিয়া ম্যানেজার মেহেদি হাসানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

সংগঠনগুলো বলছে, অতীতে প্রার্থী ও কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রচারণাসহ সাধারণ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ বা ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। চলমান নির্বাচনী প্রচারেও তামাকপণ্যের ব্যবহার পরিলক্ষিত হলে তা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে তামাকপণ্য সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।

বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- প্রজ্ঞা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এইড ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডরপ, ডাস, মানস, উন্নয়ন সমন্বয়, বিইআর, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, টিসিআরসি, বিসিসিপি, নারী মৈত্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বর্তমানে দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তামাক সেবনের ফলে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় এবং মুখ গহ্বর, ফুসফুস, খাদ্যনালীসহ প্রায় ২০ ধরনের ক্যানসার হয়।

বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। সংবিধানের ১৮ (১) অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং ৩২ অনুচ্ছেদে মানুষের জীবনের অধিকার রক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূলের ঘোষণা দেন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সার্বিক বিবেচনায় তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ বা ব্যবহার না করার বিষয়টি সকল প্রার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে যুক্ত করা হলে তা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লাকে সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি নিয়ে যাবো: বিএনপি নেতা

নির্বাচনের প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট বিতরণ বন্ধের দাবি

আপডেট সময় ০৬:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় সিগারেট, বিড়ি, গুল, জর্দাসহ সকল তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ ও ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে ১৫ তামাকবিরোধী সংগঠন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর পক্ষে প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) মিডিয়া ম্যানেজার মেহেদি হাসানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

সংগঠনগুলো বলছে, অতীতে প্রার্থী ও কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রচারণাসহ সাধারণ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ বা ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। চলমান নির্বাচনী প্রচারেও তামাকপণ্যের ব্যবহার পরিলক্ষিত হলে তা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে তামাকপণ্য সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।

বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- প্রজ্ঞা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এইড ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডরপ, ডাস, মানস, উন্নয়ন সমন্বয়, বিইআর, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, টিসিআরসি, বিসিসিপি, নারী মৈত্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বর্তমানে দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তামাক সেবনের ফলে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় এবং মুখ গহ্বর, ফুসফুস, খাদ্যনালীসহ প্রায় ২০ ধরনের ক্যানসার হয়।

বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। সংবিধানের ১৮ (১) অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং ৩২ অনুচ্ছেদে মানুষের জীবনের অধিকার রক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূলের ঘোষণা দেন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সার্বিক বিবেচনায় তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ বা ব্যবহার না করার বিষয়টি সকল প্রার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে যুক্ত করা হলে তা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।