বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তার কোনো সুযোগ থাকলো না। এদিকে, প্রার্থিতা বাতিল থাকছে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর। তিনিও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বে অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের। পরে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ।
গত ১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন। ২৬ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালত আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ। আদালত ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এদিকে, গত ৬ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক। ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত আপিল শুনানিতে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান সাদিক আবদুল্লাহ।
গত ১৮ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের কর্নেল জাহিদ ফারুক। সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। আদালত ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।