ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দোষ করিনি, সে দোষে শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • 237

যে দোষ করিনি, সে দোষে শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যে দোষ আমরা করিনি, সে দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। আজ এই আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। রায় পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের উল্লিখিত কথাগুলো বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে, আমার কী রায় হয়, আমার কী অবস্থা দাঁড়াল, তা দেখার জন্য। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল। এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

রায় শুনতে দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির হন ড. ইউনূস। ২টা ১২ মিনিটে আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরেন আদালত।

একপর্যায়ে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু, এই আদালতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে।

পরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ের পর ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ৫ হাজারর টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন। এদিকে, রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা জয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

যে দোষ করিনি, সে দোষে শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৮:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যে দোষ আমরা করিনি, সে দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। আজ এই আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। রায় পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের উল্লিখিত কথাগুলো বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে, আমার কী রায় হয়, আমার কী অবস্থা দাঁড়াল, তা দেখার জন্য। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল। এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

রায় শুনতে দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির হন ড. ইউনূস। ২টা ১২ মিনিটে আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরেন আদালত।

একপর্যায়ে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু, এই আদালতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে।

পরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ের পর ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ৫ হাজারর টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন। এদিকে, রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা জয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।