ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ছাগলের মরিচগাছ খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

ছাগলের মরিচগাছ খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খেতের মরিচগাছ ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে নাইম আহমদ (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাইম আহমদ ওই গ্রামের বশির আলীর ছেলে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রনসি গ্রামের আছকন্দর আলীর একটি ছাগল প্রতিবেশী অজুদ মিয়ার খেতের কিছু মরিচগাছ খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানার পর অজুদ মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া গতকাল সন্ধ্যায় আছকন্দর আলী ও তার ছেলে জাবেল আহমদকে গালাগালি করেন। তখন আছকন্দর আলীর চাচাতো ভাই নাইম আহমদ এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু অজুদ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যেরা সেটি না মেনে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এতে প্রতিপক্ষের সুলফির (ধারালো অস্ত্র) আঘাতে গুরুতর আহত হয় নাইম আহমদ। তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও ছয়জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদীর হোসেন বলেন, নিহত নাইমের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে আছে। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে ছাগলের মরিচগাছ খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

আপডেট সময় ০৩:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খেতের মরিচগাছ ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে নাইম আহমদ (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাইম আহমদ ওই গ্রামের বশির আলীর ছেলে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রনসি গ্রামের আছকন্দর আলীর একটি ছাগল প্রতিবেশী অজুদ মিয়ার খেতের কিছু মরিচগাছ খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানার পর অজুদ মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া গতকাল সন্ধ্যায় আছকন্দর আলী ও তার ছেলে জাবেল আহমদকে গালাগালি করেন। তখন আছকন্দর আলীর চাচাতো ভাই নাইম আহমদ এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু অজুদ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যেরা সেটি না মেনে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এতে প্রতিপক্ষের সুলফির (ধারালো অস্ত্র) আঘাতে গুরুতর আহত হয় নাইম আহমদ। তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও ছয়জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদীর হোসেন বলেন, নিহত নাইমের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে আছে। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়নি।