ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন

আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন

আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আনসার উদ্দিন মোল্লা। মা আমিনা খাতুন। জসীম উদ্‌দীন খুব অল্প বয়সেই লেখালেখির প্রতি মনোযোগী ছিলেন। শিক্ষাজীবন ফরিদপুরে শুরু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন।

প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘রাখালী’ (১৯২৭)। তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘বালুচর’, ‘ধানক্ষেত’, ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’, ‘হাসু’, ‘মা যে জননী কান্দে’ ইত্যাদি।

তার কবিতায় আবহমান বাংলাকে পাওয়া যায়। এ জন্যই তিনি পল্লীকবি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার। তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯৪০ সালের মধ্যেই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে আজ বিশ্ববিখ্যাত। তার ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ১৯৬৯ সালে ইউনেস্কোর অনুবাদ প্রকল্পের গ্রন্থ হিসেবে অনূদিত হয়েছে।

জসীম উদ্‌দীনের অধিকাংশ রচনায় গ্রাম্য জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর, রাখালের প্রতি তার অসম্ভব মমতা লক্ষ্য করার মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবন অসামান্য দরদে উপস্থাপন করেছেন। জসীম উদ্‌দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে কবর দেওয়া হয়েছে ফরিদপুরে প্রিয় দাদির কবরের পাশে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা

আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন

আপডেট সময় ১১:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আনসার উদ্দিন মোল্লা। মা আমিনা খাতুন। জসীম উদ্‌দীন খুব অল্প বয়সেই লেখালেখির প্রতি মনোযোগী ছিলেন। শিক্ষাজীবন ফরিদপুরে শুরু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন।

প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘রাখালী’ (১৯২৭)। তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘বালুচর’, ‘ধানক্ষেত’, ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’, ‘হাসু’, ‘মা যে জননী কান্দে’ ইত্যাদি।

তার কবিতায় আবহমান বাংলাকে পাওয়া যায়। এ জন্যই তিনি পল্লীকবি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার। তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯৪০ সালের মধ্যেই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে আজ বিশ্ববিখ্যাত। তার ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ১৯৬৯ সালে ইউনেস্কোর অনুবাদ প্রকল্পের গ্রন্থ হিসেবে অনূদিত হয়েছে।

জসীম উদ্‌দীনের অধিকাংশ রচনায় গ্রাম্য জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর, রাখালের প্রতি তার অসম্ভব মমতা লক্ষ্য করার মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবন অসামান্য দরদে উপস্থাপন করেছেন। জসীম উদ্‌দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে কবর দেওয়া হয়েছে ফরিদপুরে প্রিয় দাদির কবরের পাশে।