বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কাছে থেকে একনজর দেখার ইচ্ছা ছিল তার। সে কারণে তিনি বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কেবিনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। নেত্রীর একটি ছবি তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩৪ বছর বয়সী সুজন পাল ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়ার কেবিনে ঢোকার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাকে ভাটারা থানায় সোপর্দ করা হয়। আদালতের অনুমতিতে সুজনকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার আবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে যোগাযোগ করা হলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, রিমান্ডে সুজন পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরের চরচাঁদপুরে। তিনি দুই মাস ধরে ঢাকার একটি মেসে থাকেন। খালেদা জিয়াকে কাছে থেকে একনজর দেখার খুব ইচ্ছা ছিল তার। সেদিন তিনি খালেদা জিয়ার ছবি তুলতে তার কেবিনে ঢুকতে চেয়েছিলেন। এর আগেও একবার খালেদা জিয়াকে দেখতে তিনি এই হাসপাতালে এসেছিলেন।
অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালের আগে পর তিনি ছাত্রদল করতেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির একজন সমর্থক।
সুজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায় মাদকের একটি মামলা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রাজন। তিনি বলেন, পরিবার বলেছে সুজন মানসিক ভারসাম্যহীন। এ জন্য তারা সুজনকে পাবনা ও ফরিদপুরের মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন। তার পরিবার সেই কাগজপত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়েছেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুজনের কথা অসংলগ্ন ছিল।
লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে অপরিচিত একজন তার কেবিনে ঢোকার চেষ্টায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার কেবিনে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন যুবকের প্রবেশের চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। হাসপাতালের মতো নিরাপদ জায়গায় থাকলেও তার নিরাপত্তাব্যবস্থা কেন এত দুর্বল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন এই নেতা।