২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের রেহাই দেওয়া হবে না, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হামলার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন হামলায় আহত সাংবাদিকদের একটি দল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আহত সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ অনেক আন্দোলন ও সংগ্রাম দেখেছে। কিন্তু, সাংবাদিকদের কোনো সময় টার্গেট করা হয়নি। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার দুঃখ প্রকাশ করার কোনো ভাষা নেই।’
যারা এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা পার পাবে না, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জজ কোয়ার্টার এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর আগে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার কোনো নজির নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের জঘন্য কাজের আদেশ প্রদানকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শেখ হাসিনা আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদও বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ অক্টোবর আহত সাংবাদিকদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে আহত সাংবাদিকরা তাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের বর্ণনা দেন।