রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকা থেকে কাতার প্রবাসী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী সামিয়া তাজ (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ শ্বশুরবাড়ির বরাতে ধারণা করছে, সামিয়া গলায় ফাঁস পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে সামিয়ার বড় ভাই আহম্মদ উল্লাহ দাবি করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
পল্লবী থেকে গত শনিবার(২৩ডিসেম্বর) তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আহম্মদ উল্লাহ বলেন, সামিয়া তার কনিষ্ঠ বোন। আদরের বোনকে নজরে রাখার জন্য নিজ বাড়ির কাছাকাছি কাতার প্রবাসী মোশারফের সাথে গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরপরই মোশারফ কাতারে চলে যান।
বিয়ের ৬ মাস পার না হলেও শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য সামিয়াকে চাপ দেওয়া হত। সামিয়া যৌতুক প্রদানে অস্বীকার করলে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান আহম্মদ উল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর দুই দিন আগে সামিয়া ফোনে তার মাকে জানায়, নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছি না। আহম্মদ উল্লাহ বলেন, ২৩ তারিখ রাতে শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী একজন ফোন করে তাকে জানান, সামিয়াকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সিএনজিতে করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। খবর শুনে আহম্মদ উল্লাহসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে সামিয়ার নিথর দেহ দেখতে পান।
পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘পুলিশ সামিয়ার মৃত্যুদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের ফরেনসিক প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। পুলিশ তার ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।’