লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের হামলায় জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ১৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট শহরের আলোরুপা মোড়ে জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ সকালে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক, যারা সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সঙ্গে লালমনিরহাট-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান ও তার লোকজন সভা করছিলেন। এমন খবরে বিষয়টি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে অবগত করেন জাপার প্রার্থী জাহিদ হাসান। পরে সশরীরে বিষয়টি দেখতে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে যান জাহিদ হাসান। প্রথমে তাকে বসতে দিলেও পরক্ষণে গালমন্দ করলে নিজ দলের কার্যালয়ে ফিরেন লাঙ্গলের প্রার্থী।
পরে দলীয় কার্যালয়ে বসে বিষয়টি মোবাইলে নেতাকর্মীদের অবগত করছিলেন জাহিদ হাসান। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ওই কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ লাঙ্গলের প্রার্থী জাহিদ হাসানের। এ ঘটনায় জাপার ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলায় আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, পৌর ছাত্রসমাজের মেহেদি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক, ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি রাকিব, জেলা ছাত্রসমাজের সদস্য রবিউল, রাশেদুল, পৌর ছাত্রসমাজের ১নং ওয়ার্ডের ফরিদুল, ৯নং ওয়ার্ডের আল-আমিন, সদস্য মুরাদ, অন্ত, সাগর, শামছুল ইসলাম শাহিন ও মাসুদ।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাহিদ হাসান বলেন, নির্বাচনের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মাদরাসার শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করছিলেন নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিষয়টি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে অবগত করে কোনো কাজ না হওয়ায় নিজেই গিয়েছিলাম সেই মিটিংয়ে। সেখানে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ফিরে দলীয় কার্যালয়ে চলে এলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে জাপার ১৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমানকে কল করলে অন্য আরেকজন রিসিভ করে স্যার (মতিয়ার রহমান) ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।