ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি- টিআইবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। স্বতন্ত্রদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৪৭ শতাংশ। এরপর জাতীয় পার্টির অবস্থান। তাদের প্রার্থীদের প্রায় ২২ শতাংশ কোটিপতি।

নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি কোটিপতির হিসাব করেছে নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, সোনাসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে। জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পদ এই হিসাবে আসেনি।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শিরোনামের এই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি টিআইবি সাধারণ মানুষের জন্য একটি ‘অনলাইন ড্যাশবোর্ড’ তৈরি করেছে, যার শিরোনাম ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’। টিআইবির ওয়েবসাইটে ড্যাশবোর্ডে প্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

টিআইবি এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ১ হাজার ৯২০ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে। তারা ১৬ ডিসেম্বর রাত থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হলফনামা ডাউনলোড শুরু করে। উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জনে দাঁড়িয়েছিল। পরে আদালতে গিয়ে কেউ কেউ প্রার্থিতা ফেরত পান। কারও কারও প্রার্থিতার বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন।

টিআইবি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, আয়, সম্পদ, দায়, মামলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছে। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি আয় বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি জমি ও সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত ১০ জন করে প্রার্থীর তালিকা তুলে ধরেছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ও জাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা ও প্রতিবাদ

আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি- টিআইবি

আপডেট সময় ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। স্বতন্ত্রদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৪৭ শতাংশ। এরপর জাতীয় পার্টির অবস্থান। তাদের প্রার্থীদের প্রায় ২২ শতাংশ কোটিপতি।

নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি কোটিপতির হিসাব করেছে নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, সোনাসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে। জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পদ এই হিসাবে আসেনি।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শিরোনামের এই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি টিআইবি সাধারণ মানুষের জন্য একটি ‘অনলাইন ড্যাশবোর্ড’ তৈরি করেছে, যার শিরোনাম ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’। টিআইবির ওয়েবসাইটে ড্যাশবোর্ডে প্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

টিআইবি এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ১ হাজার ৯২০ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে। তারা ১৬ ডিসেম্বর রাত থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হলফনামা ডাউনলোড শুরু করে। উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জনে দাঁড়িয়েছিল। পরে আদালতে গিয়ে কেউ কেউ প্রার্থিতা ফেরত পান। কারও কারও প্রার্থিতার বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন।

টিআইবি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, আয়, সম্পদ, দায়, মামলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছে। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি আয় বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি জমি ও সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত ১০ জন করে প্রার্থীর তালিকা তুলে ধরেছে।