ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় বিয়ের আসরে বরকে স্বামী দাবি করলেন ২ নারী

নেত্রকোনায় বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দুই নারী প্রত্যেকেই দাবি করেন তারা নতুন বরের পুরাতন স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হয় পুলিশও। এরপর পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বরের দাবি, স্ত্রী দাবি করা নারীদের একজনের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাকে দেওয়া হয়েছে তালাক। আদালতে চলছে মামলা। অপরজনের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন নতুন বর। স্ত্রী দাবী করা নারীরা হলেন- একই উপজেলার পিয়া জাহান ও নওরিন হাসান নিসা।

পুলিশ ও স্ত্রী দাবি করা দুই নারী জানান, বর সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া চলাকালীন ঘটে বিপত্তি। বিয়ের আসরে হাজির হন দুই নারী।

জানতে চাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে গত বছরের ১ জুলাই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। কয়েক মাস আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন সাজ্জাদ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার (সাজ্জাদের) আগেও একজন স্ত্রী রয়েছে। তার সঙ্গে মামলা চলমান রয়েছে। সোমবার জেলা শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে তার আরেক বিয়ে চলছে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক আমি পুলিশ সুপার স্যারের কাছে বিয়ে বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দেই। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি তার বিচার চাই।’

সাজ্জাদের প্রথম স্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে তার তিন বছর আগে বিয়ে হয়। এরপর থেকে আমরা একসঙ্গেই ময়মনসিংহে ছিলাম। পরে সে বদলি হয়ে ধর্মপাশা চলে গেলে আমার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে। বছরখানেক আগে সে আরেকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখানেও আমি উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। পরে শুনি সে তার এক আত্মীয়কে বিয়ে করেছে। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলাটি চলমান রয়েছে। আজ (সোমবার) সে আরেকজনকে বিয়ে করছে শুনে হাজির হই। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেই।

জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন একটি বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রথম স্ত্রীকে আমি তালাক দিয়ে দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার মামলা চলছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক

নেত্রকোনায় বিয়ের আসরে বরকে স্বামী দাবি করলেন ২ নারী

আপডেট সময় ১২:৪৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনায় বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দুই নারী প্রত্যেকেই দাবি করেন তারা নতুন বরের পুরাতন স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হয় পুলিশও। এরপর পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বরের দাবি, স্ত্রী দাবি করা নারীদের একজনের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাকে দেওয়া হয়েছে তালাক। আদালতে চলছে মামলা। অপরজনের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন নতুন বর। স্ত্রী দাবী করা নারীরা হলেন- একই উপজেলার পিয়া জাহান ও নওরিন হাসান নিসা।

পুলিশ ও স্ত্রী দাবি করা দুই নারী জানান, বর সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া চলাকালীন ঘটে বিপত্তি। বিয়ের আসরে হাজির হন দুই নারী।

জানতে চাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে গত বছরের ১ জুলাই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। কয়েক মাস আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন সাজ্জাদ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার (সাজ্জাদের) আগেও একজন স্ত্রী রয়েছে। তার সঙ্গে মামলা চলমান রয়েছে। সোমবার জেলা শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে তার আরেক বিয়ে চলছে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক আমি পুলিশ সুপার স্যারের কাছে বিয়ে বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দেই। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি তার বিচার চাই।’

সাজ্জাদের প্রথম স্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে তার তিন বছর আগে বিয়ে হয়। এরপর থেকে আমরা একসঙ্গেই ময়মনসিংহে ছিলাম। পরে সে বদলি হয়ে ধর্মপাশা চলে গেলে আমার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে। বছরখানেক আগে সে আরেকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখানেও আমি উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। পরে শুনি সে তার এক আত্মীয়কে বিয়ে করেছে। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলাটি চলমান রয়েছে। আজ (সোমবার) সে আরেকজনকে বিয়ে করছে শুনে হাজির হই। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেই।

জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন একটি বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রথম স্ত্রীকে আমি তালাক দিয়ে দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার মামলা চলছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।