ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৫০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি। এ হামলায় আল-মাগাজি নামক শরণার্থীশিবিরেই নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানায়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এতে ২৫০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়। এ হামলায় আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরের সাতটি পরিবারের সবাই মারা গেছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে, গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে তারা। তবে এই অভিযানকে দীর্ঘায়িত ও কঠিন বলে স্বীকার করেছে তারা।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সব লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবেই।
গত ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তবে হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের বোমা হামলায় প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশু।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আর উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার ২৩ লাখের মধ্যে ১৮ লাখের বেশি বাসিন্দা।