ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের শেখানো স্বাীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, জনগণ বিশ্বাস করে-চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতেই সরকারের ইন্ধনে একের পর এক পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (২৫ ডিসেস্বর) বিএনপির তরফ থেকে পাঠানো এক জরুরি বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইখতিয়ার কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা জামাল রিকু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকিত হোসেন মুকিতসহ অন্যান্য নেতারা যাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে-তাদেরকে এখনও পর্যন্ত আদালতে সোপর্দ কিংবা তাদের পরিবারের নিকট ফেরত না দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিকে রিজভী বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে নাশকতার নানান মিথ্যা অভিযোগের দায় স্বীকার করাতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম আদায়ের নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে বলে মানুষ মনে করে। ইখতিয়ার কবির ও মুকিত হোসেন মুকিত গুরুতর অসুস্থ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাদের পরিবারের নিকট ফেরত না দেওয়া ও আদালতে সোপর্দ না করার ঘটনা চরম অমানবিকতা ও গভীর উদ্বেগজনক বলেও জানান রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে এহেন নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড বারংবার সংঘটিত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন-নিপীড়ন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত রীতি। ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের এভাবে গুম করে রাখা এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মমতায় ভুক্তভোগীদের পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে আতঙ্কিত।
রিজভী বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য বিরোধীদল ও ভিন্নমতকে দমনের অংশ হিসেবে এবং বিরোধীদলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ভয় পাইয়ে দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে এ ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।