ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমধ্যসাগর বন্ধ করার হুমকি ইরানের

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 217

ভূমধ্যসাগর বন্ধ করার হুমকি ইরানেরভূমধ্যসাগর বন্ধ করার হুমকি ইরানের

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন কমান্ডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় ‘অপরাধ’ করতে থাকলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এটি কিভাবে ঘটবে তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। ইরানি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিপ্লবী গার্ডদের সমন্বয়কারী কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদির উদ্ধৃতি দিয়ে তাসনিম বলেছে, ‘তারা শিগগিরই ভূমধ্যসাগর, (প্রণালি) জিব্রাল্টার এবং অন্যান্য পানিপথ বন্ধের অপেক্ষা করবে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে ইরান সমর্থন করে। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি অপরাধগুলোকে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে কয়েক সপ্তাহের বোমাবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং জনসংখ্যার অধিকাংশ তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া ইয়েমেনের ইরান সম্পর্কিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে আক্রমণ করেছে।

এতে কিছু শিপিং কম্পানি তাদের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। রয়টার্স অনুসারে, শুক্রবার হোয়াইট হাউস বলেছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় ইরান ‘গভীরভাবে জড়িত’।

এদিকে ভূমধ্যসাগরে ইরানের সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই এবং তাদের বাহিনী কিভাবে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারে তা পরিষ্কার নয়। যদিও নাকদি ‘প্রতিরোধের নতুন শক্তির জন্ম এবং অন্যান্য পানিপথ বন্ধ করার’ কথা বলেছেন।

নাকদির উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘গতকাল পারস্য উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালি তাদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল এবং আজ তারা আটকা পড়েছে লোহিত সাগরে।’

ভূমধ্যসাগরে ইরান সমর্থিত একমাত্র দলগুলো হল লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ায় মিত্র মিলিশিয়া। তাদের অবস্থান জিব্রাল্টার থেকে সমুদ্রের শেষ প্রান্তে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

ভূমধ্যসাগর বন্ধ করার হুমকি ইরানের

আপডেট সময় ০৭:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন কমান্ডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় ‘অপরাধ’ করতে থাকলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এটি কিভাবে ঘটবে তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। ইরানি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিপ্লবী গার্ডদের সমন্বয়কারী কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদির উদ্ধৃতি দিয়ে তাসনিম বলেছে, ‘তারা শিগগিরই ভূমধ্যসাগর, (প্রণালি) জিব্রাল্টার এবং অন্যান্য পানিপথ বন্ধের অপেক্ষা করবে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে ইরান সমর্থন করে। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি অপরাধগুলোকে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে কয়েক সপ্তাহের বোমাবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং জনসংখ্যার অধিকাংশ তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া ইয়েমেনের ইরান সম্পর্কিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে আক্রমণ করেছে।

এতে কিছু শিপিং কম্পানি তাদের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। রয়টার্স অনুসারে, শুক্রবার হোয়াইট হাউস বলেছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় ইরান ‘গভীরভাবে জড়িত’।

এদিকে ভূমধ্যসাগরে ইরানের সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই এবং তাদের বাহিনী কিভাবে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারে তা পরিষ্কার নয়। যদিও নাকদি ‘প্রতিরোধের নতুন শক্তির জন্ম এবং অন্যান্য পানিপথ বন্ধ করার’ কথা বলেছেন।

নাকদির উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘গতকাল পারস্য উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালি তাদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল এবং আজ তারা আটকা পড়েছে লোহিত সাগরে।’

ভূমধ্যসাগরে ইরান সমর্থিত একমাত্র দলগুলো হল লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ায় মিত্র মিলিশিয়া। তাদের অবস্থান জিব্রাল্টার থেকে সমুদ্রের শেষ প্রান্তে।