নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে ইসি আনিছুর বলেন, ডানে বামে তাকানোর সময় আপনাদের নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিসাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। আর ওই কেন্দ্রে আবার ভোট হলে তখন আরো বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন সেটা মাথা থেকে ফেলে দিতে হবে। ভোটের আগে পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে প্রার্থীরাই আচরণবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ করে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি দুই মিনিটের পথ হেঁটে এখানে (জেলা প্রশাসক কার্যালয়) এসেছি। তখন দেখলাম যেসব প্রার্থীরা এসেছেন তাদের কারো গাড়িতে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানো। এটা আপনারা করতে পারেন না।
মতবিনিময় সভায় তিনি সরকার দলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় একাধিক প্রার্থী তাদের কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। ভোটের মাঠে কালো টাকা উড়ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সরকার দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন সেটা উল্লেখ করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালেও বিষয়টি উঠলে ইসি আনিছুর রহামন জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কি করতে হবে বলে দেওয়া হয়েছে। মতবিনিময় সভায় কয়েকজন প্রার্থী, তাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।