ভোট চুরির অপরাধে এ দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ভোট চুরির সুযোগ না থাকায় বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে মন্ত্রব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তারা পারেনি যার জন্য তারা এখন সব সময় নির্বাচন বাতিল করতে চায়। ২০০৬ সালেও তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করে ভোট চুরির চেষ্টা করেছিল। এবার সেই সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে আসেনি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ হাসিনা পঞ্চগড় সুগার মিল মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটচুরির অপরাধে যাদের দেশবাসী ক্ষমতাচ্যুত করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণ করতে হবে।
নির্বাচনে কেউ যেন কোনো অভিযোগ আনতে না পারে সেইভাবে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনে জনগণের ও ভোটারের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কোন দল আসল না আসল তাতে আসে যায় না। দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দলের মধ্যে ঐক্য রাখবেন। আওয়ামী লীগ মানুষকে ভোটের অধিকার দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ করে তারা যেন কোনো মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। তারা বাস-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে।
২০১৪ সালেও তারা একইভাবে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। দেশের উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘পঞ্চগড়ের চা শিল্প সম্প্রসারণ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উন্নয়ন করেছি। কোনো যুদ্ধ ছাড়াই ছিটমহল বিনিময় করেছি। এটি বিশ্বের উদাহরণ হতে পারে। আগামীতে নির্বাচিত হলে কেউ গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন। জনগণ ভোট দিবে। ভোটের মালিক জনগণ। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা এটা উন্মুক্ত করেছি। আমাদের নৌকার প্রার্থীও আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছে এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীও আছে। প্রত্যেকে জনগণের কাছে যাবেন। জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি নির্বাচিত হবেন। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না।