ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওর ও দুর্গম এলাকায় আগের দিন যাবে ব্যালট: ইসি আনিছুর

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৪:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 257

হাওর ও দুর্গম এলাকায় আগের দিন যাবে ব্যালট: ইসি আনিছুর

দুর্গম এলাকায় ভোটের আগেই ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা কিংবা হাওরবেষ্টিত যেসব অঞ্চল রয়েছে, তার ব্যাপারে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসাররা প্রতিবেদন পাঠাবেন। সেই অনুযায়ী ভোটের আগের দিন নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পাঠানো হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আমরা যথেষ্ট প্রার্থী দেখছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। অনেক জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক শক্তি-সামর্থ্য রাখেন। আমরা আশা করছি, প্রতিদ্বন্দ্বিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা আর আপনাদের কাজ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনামতো ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসিদের বদলি করে আমরা কী চাই তা স্পষ্ট করেছি।

গত নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এবারের কমিশন আগের দুই নির্বাচনের মতো কিছু হতে দেবে না। কেউ শক্তি প্রয়োগ ও বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে সাত বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি আগে ছিল না। আমার ও আপনার জন্য নয়, জাতিকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও অতিরিক্ত বিভাগী কমিশনার মো. আসিব আহসান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সামনে হবিগঞ্জের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এর মাঝে হবিগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী এলাকা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি বর্তমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সহযোগিতা করছেন।

ওই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল বলেন, আমি জয়লাভের জন্য নয়, আপনারা কী করছেন তা দেখার জন্য নির্বাচন করছি। এর আগেও চারটি নির্বাচন করেছি। আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন কেউ ভয়ে আমার পোস্টার লাগায় না। এখনো পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে শোকজ করা হয়, কিন্তু বিচার করা হয় না।

হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রটোকল ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাকে পরাজিত করতে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওর ও দুর্গম এলাকায় আগের দিন যাবে ব্যালট: ইসি আনিছুর

আপডেট সময় ০৪:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

দুর্গম এলাকায় ভোটের আগেই ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা কিংবা হাওরবেষ্টিত যেসব অঞ্চল রয়েছে, তার ব্যাপারে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসাররা প্রতিবেদন পাঠাবেন। সেই অনুযায়ী ভোটের আগের দিন নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পাঠানো হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আমরা যথেষ্ট প্রার্থী দেখছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। অনেক জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক শক্তি-সামর্থ্য রাখেন। আমরা আশা করছি, প্রতিদ্বন্দ্বিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা আর আপনাদের কাজ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনামতো ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসিদের বদলি করে আমরা কী চাই তা স্পষ্ট করেছি।

গত নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এবারের কমিশন আগের দুই নির্বাচনের মতো কিছু হতে দেবে না। কেউ শক্তি প্রয়োগ ও বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে সাত বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি আগে ছিল না। আমার ও আপনার জন্য নয়, জাতিকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও অতিরিক্ত বিভাগী কমিশনার মো. আসিব আহসান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সামনে হবিগঞ্জের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এর মাঝে হবিগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী এলাকা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি বর্তমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সহযোগিতা করছেন।

ওই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল বলেন, আমি জয়লাভের জন্য নয়, আপনারা কী করছেন তা দেখার জন্য নির্বাচন করছি। এর আগেও চারটি নির্বাচন করেছি। আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন কেউ ভয়ে আমার পোস্টার লাগায় না। এখনো পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে শোকজ করা হয়, কিন্তু বিচার করা হয় না।

হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রটোকল ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাকে পরাজিত করতে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।