ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুসলিম কিশোরীকে ধর্ষণ: জয় কুড়িসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন Logo সুন্দরগঞ্জে বিএনপির দু-গ্রুপের উত্তেজনা:১৪৪ ধারা জারি Logo আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের Logo ছাত্রদল রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব বহিঃপ্রকাশ : এস এম ফরহাদ Logo রুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেশের শীর্ষ পরীক্ষাভিত্তিক অ্যাপ ‘চর্চা’ Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশ পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Logo নির্বাচনী ‘সমঝোতার’পথে ইসলামী দলগুলো, যুক্ত হতে পারে এনসিপি Logo শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনসহ ৬ দফা দাবি ইউটিএলের Logo মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ Logo মুরাদনগরে গাছের ডাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ৪১ দেশে ছড়িয়েছে

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৩:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 292

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ৪১ দেশে ছড়িয়েছে

করোনার নতুন একটি সাবভ্যারিয়েন্ট ‘জেএন.১’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুততার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে এরইমধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

এর মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বহু দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণ রোধ এবং ভয়াবহ আক্রমণের ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তা হলো- জনবহুল এলাকাগুলোতে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে, কোভিড ও ফ্লু টিকা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট খবর রাখতে হবে, অসুস্থ হলে বাসায় থাকতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে।

ভারতে দেড় বছর আগে দেখা দেয় ওমিক্রম ওয়েভ। তারপর এই ভাইরাসের আবির্ভাবে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন প্রথম সারির দু’জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা বলেছেন নতুন শনাক্ত করা জেএন.১ হলো ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট। এতে ভারতে কোভিড-১৯ এর একটি ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

সিডিসির মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি লাগা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, জমাট বাঁধা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। জেএন.১ এর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য করোনার বিদ্যমান পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাই যথেষ্ট বলে ধারণা করছে সিডিসি।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর (সিডিসি) ভাষ্য, জেএন.১ লক্ষণে করোনার অন্য ধরনগুলোর থেকে আলাদা কিছু আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। লক্ষণগুলোর ধরন ও সেগুলো কতটা গুরুতর তা সাধারণত কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুসলিম কিশোরীকে ধর্ষণ: জয় কুড়িসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ৪১ দেশে ছড়িয়েছে

আপডেট সময় ০৩:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

করোনার নতুন একটি সাবভ্যারিয়েন্ট ‘জেএন.১’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুততার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে এরইমধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

এর মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বহু দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণ রোধ এবং ভয়াবহ আক্রমণের ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তা হলো- জনবহুল এলাকাগুলোতে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে, কোভিড ও ফ্লু টিকা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট খবর রাখতে হবে, অসুস্থ হলে বাসায় থাকতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে।

ভারতে দেড় বছর আগে দেখা দেয় ওমিক্রম ওয়েভ। তারপর এই ভাইরাসের আবির্ভাবে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন প্রথম সারির দু’জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা বলেছেন নতুন শনাক্ত করা জেএন.১ হলো ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট। এতে ভারতে কোভিড-১৯ এর একটি ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

সিডিসির মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি লাগা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, জমাট বাঁধা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। জেএন.১ এর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য করোনার বিদ্যমান পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাই যথেষ্ট বলে ধারণা করছে সিডিসি।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর (সিডিসি) ভাষ্য, জেএন.১ লক্ষণে করোনার অন্য ধরনগুলোর থেকে আলাদা কিছু আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। লক্ষণগুলোর ধরন ও সেগুলো কতটা গুরুতর তা সাধারণত কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।