ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক Logo দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ Logo ঢাকা জেলা জামায়াতের দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

টেন্ডার তুলে না নেওয়ায় ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের অফিসে হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ওই ঠিকাদার পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।

অভিযোগ দেওয়া ওই ঠিকাদারের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৩)। তার বাড়ি শহরতলির দ্বীপচর গ্রামে। তার দাবি, টেন্ডার তুলে না নেওয়ায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হামলা চালিয়ে তার অফিস তছনছ এবং তাকে মারধর করেছেন। তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানায় দেওয়া অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, তিনি গত সোমবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) একটি টেন্ডার দাখিল করেন। সেদিনই টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ও খোলার তারিখ ছিল। তিনি টেন্ডারটি দাখিল করার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও তার লোকজন টেন্ডার তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রাত আটটার দিকে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে তার অফিসে ঢোকেন। তারা অফিস তছনছ করে এবং টেন্ডার তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকা যুবকেরা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। অফিসের ড্রয়ারে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে চলে যান।

অভিযোগটি কেন এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি, তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন দেলোয়ার হোসেন।

তবে ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কোনো ঠিকাদারের অফিসে যাইনি, হুমকিও দিইনি। এমন কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন না। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র হতে পারে। যিনি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার হতে পারব।

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল

টেন্ডার তুলে না নেওয়ায় ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের অফিসে হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ওই ঠিকাদার পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।

অভিযোগ দেওয়া ওই ঠিকাদারের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৩)। তার বাড়ি শহরতলির দ্বীপচর গ্রামে। তার দাবি, টেন্ডার তুলে না নেওয়ায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হামলা চালিয়ে তার অফিস তছনছ এবং তাকে মারধর করেছেন। তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানায় দেওয়া অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, তিনি গত সোমবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) একটি টেন্ডার দাখিল করেন। সেদিনই টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ও খোলার তারিখ ছিল। তিনি টেন্ডারটি দাখিল করার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও তার লোকজন টেন্ডার তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রাত আটটার দিকে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে তার অফিসে ঢোকেন। তারা অফিস তছনছ করে এবং টেন্ডার তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকা যুবকেরা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। অফিসের ড্রয়ারে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে চলে যান।

অভিযোগটি কেন এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি, তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন দেলোয়ার হোসেন।

তবে ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কোনো ঠিকাদারের অফিসে যাইনি, হুমকিও দিইনি। এমন কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন না। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র হতে পারে। যিনি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার হতে পারব।