ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি বিদেশ থেকে চাইলেও ওদের নাই করে দিতে পারি: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এই রাজনীতি আমার ভালো লাগে না। এই বাচ্চাটা এখানে আছে। আমি ট্রেনে চড়ে ধরেন বাবা মেয়ে গল্প করতে করতে যাচ্ছি। সেখানে কেউ আগুন দিয়ে দিল রাজনীতির নামে।

আমি আমার মেয়েটাকে রক্ষা করতে পারলাম না। বাবা-মেয়ে জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় একসঙ্গে মরে গেলাম। এর নাম কি রাজনীতি? আপনারা কী আল্লাহর কাছে জবাব দেবেন না। সব কাজের ঠেকা কী আমাদের? আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শামীম ওসমার।

এর আগে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট ও দোয়া চান তিনি। শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ৫৪ জন ছেলেকে এই হাত দিয়ে দাফন করেছি। আমরা তো প্রতিশোধ নেইনি। আমাদের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছিল, কেন? আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।

অপরাধ করেছি? আমার এই ছোট ছোট ছেলেদের বৌ কেন বিধবা হবে। ওদের ছেলে-মেয়েরা কেন বাবা ছাড়া মানুষ হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে চাইলেও ওদের নাই করে দিতে পারি। পুলিশ প্রশাসন সব ওদের পক্ষে থাকুক। আমরা পারব নাই করে দিতে।

কিন্তু আমরা করব না। কারণ তাহলে ওদের সঙ্গে আমাদের আর কোনো তফাৎ থাকবে না। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা এই কাশিপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ ফ্লাইওভার করছি। এই রাস্তা আমার বাবার নামে হবে। এই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক আমার বাবার নামে হয়েছে। আদমজী সড়ক আমার মায়ের নামে হয়েছে। আমি কিন্তু চাইনি, আমার বাবা-মাকে সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ পানির নিচে গাদাগাদি করে থাকত। আমরা সেই ডিএনডি প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। এই রাস্তা করেছি ৬২৫ কোটি টাকার, শুধু ফতুল্লায়। আমরা প্রাইমারি স্কুল করেছি হাইস্কুল করেছি। পাগলের মতো কাজ করতে চেষ্টা করেছি। কেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করতে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার নারায়ণগঞ্জে মেট্রো রেল হবে। নারায়ণগঞ্জে যদি আইটি ইন্সটিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়, মেট্রো রেল হয়ে যায় আমাদের কী দরকার আছে ঢাকায় যাওয়ার। আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই। এগুলো ভোগ করবে কে? আমাদের বাচ্চারা। এই রাস্তা দিয়ে কী শুধু আওয়ামী লীগ চলে। বিএনপিও তো চলে। আমি নির্বাচনের পর সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি বিদেশ থেকে চাইলেও ওদের নাই করে দিতে পারি: শামীম ওসমান

আপডেট সময় ০৮:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এই রাজনীতি আমার ভালো লাগে না। এই বাচ্চাটা এখানে আছে। আমি ট্রেনে চড়ে ধরেন বাবা মেয়ে গল্প করতে করতে যাচ্ছি। সেখানে কেউ আগুন দিয়ে দিল রাজনীতির নামে।

আমি আমার মেয়েটাকে রক্ষা করতে পারলাম না। বাবা-মেয়ে জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় একসঙ্গে মরে গেলাম। এর নাম কি রাজনীতি? আপনারা কী আল্লাহর কাছে জবাব দেবেন না। সব কাজের ঠেকা কী আমাদের? আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শামীম ওসমার।

এর আগে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট ও দোয়া চান তিনি। শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ৫৪ জন ছেলেকে এই হাত দিয়ে দাফন করেছি। আমরা তো প্রতিশোধ নেইনি। আমাদের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছিল, কেন? আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।

অপরাধ করেছি? আমার এই ছোট ছোট ছেলেদের বৌ কেন বিধবা হবে। ওদের ছেলে-মেয়েরা কেন বাবা ছাড়া মানুষ হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে চাইলেও ওদের নাই করে দিতে পারি। পুলিশ প্রশাসন সব ওদের পক্ষে থাকুক। আমরা পারব নাই করে দিতে।

কিন্তু আমরা করব না। কারণ তাহলে ওদের সঙ্গে আমাদের আর কোনো তফাৎ থাকবে না। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা এই কাশিপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ ফ্লাইওভার করছি। এই রাস্তা আমার বাবার নামে হবে। এই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক আমার বাবার নামে হয়েছে। আদমজী সড়ক আমার মায়ের নামে হয়েছে। আমি কিন্তু চাইনি, আমার বাবা-মাকে সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ পানির নিচে গাদাগাদি করে থাকত। আমরা সেই ডিএনডি প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। এই রাস্তা করেছি ৬২৫ কোটি টাকার, শুধু ফতুল্লায়। আমরা প্রাইমারি স্কুল করেছি হাইস্কুল করেছি। পাগলের মতো কাজ করতে চেষ্টা করেছি। কেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করতে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার নারায়ণগঞ্জে মেট্রো রেল হবে। নারায়ণগঞ্জে যদি আইটি ইন্সটিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়, মেট্রো রেল হয়ে যায় আমাদের কী দরকার আছে ঢাকায় যাওয়ার। আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই। এগুলো ভোগ করবে কে? আমাদের বাচ্চারা। এই রাস্তা দিয়ে কী শুধু আওয়ামী লীগ চলে। বিএনপিও তো চলে। আমি নির্বাচনের পর সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।