নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা ৩০০ আসনের প্রার্থীদের তালিকা পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতীকসহ আমাদের ব্যালট পেপার প্রিন্টিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনটি সরকারি ছাপাখানায় এ কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিজি প্রেসের যে সরকারি তিনটা প্রেস আছে, সেখানে পুরোদমে ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলছে। যেসব নির্বাচনি এলাকায় মামলা আছে বা মামলা পেন্ডিং আছে, সেগুলো আমরা পরে প্রিন্ট করব।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ শেষ করতে চাই। যেসব নির্বাচনি এলাকায় কোনো মামলা নেই বা পেন্ডিং নেই, সেগুলো প্রথমে মুদ্রণ করা হবে। যেসব নির্বাচনি এলাকায় মামলা রয়ে গেছে বা হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন বা বাতিল হতে পারে। সেসব এলাকার প্রার্থীদের প্রতীকসহ ব্যালট পেপার মুদ্রণ করা হলে পুনরায় মুদ্রণ করা লাগতে পারে। সুতরাং যেসব নির্বাচনি এলাকায় মামলা রয়েছে সেগুলো সবার শেষে মুদ্রণ করা হবে। কতটি আসনে এরকম মামলা আছে, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৪০টির বেশি নির্বাচনি এলাকায় মামলা চলমান।
কী পরিমাণ বাজেট রাখা হয়েছে বা চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যালট মুদ্রণ হচ্ছে সরকারি প্রেস থেকে। সুতরাং সুনির্দিষ্ট কোনো বাজেট নেই। বিজি প্রেসের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৩৩ কোটি টাকা তাদের কাগজ কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দই এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপা হবে।
কবে থেকে ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পাঠানো হবে জানতে চাইলে ইসি’র অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো আগে কমপ্লিট হবে, সেগুলো আগে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, ব্যালট পেপার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবে। এখান থেকে যদি তিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠান, তাহলে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, ভোটের দিন জেলা থেকে সব উপজেলায় পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিন অনেক মালামাল পাঠাতে হয়। কেন্দ্র অনুযায়ী ব্যালট বাছাই করতে হয়, সেট করতে হয়। সেজন্য আগেই সরকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
সেক্ষেত্রে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তো আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর। তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা দিতে বলেছি। নিরাপত্তা সহযোগেই কিন্তু ব্যালট পেপারগুলো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নিরাপত্তা কমিশন স্পেসিফিক বলে দেবে না, এ বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।