ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল- ইসি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেছেন, একজন ভোটার নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। অংশগ্রহণ মূলক, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের বিষয়ে ইসি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবে সাংবাদিকরা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কি হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে।

ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।

তিনি জানান, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি তার কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল- ইসি

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেছেন, একজন ভোটার নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। অংশগ্রহণ মূলক, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের বিষয়ে ইসি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবে সাংবাদিকরা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কি হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে।

ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।

তিনি জানান, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি তার কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।