ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘জাতি আজ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। দায়িত্বশীলতার সাথে বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আজ সোমবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা বার কাউন্সিলের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস.এম কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় নবীন আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
নবীন আইনজীবীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আইন পেশায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিচারাঙ্গনে চলমান পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে। আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে না। যা সম্প্রতি আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক একরাতে বিএনপির নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে আবারো প্রমাণ হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। এ বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা হলেও তার বিরুদ্ধে সামান্যতম ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
একজন আইনজীবীকে অব্যশ্যই পেশার মান, আন্তরিকতা, দায়িত্বশীলতা ও সময়নিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হতে হবে।
মনে রাখতে হবে, একজন আইনজীবী ঘড়ির কাঁটার সাথে সংগতি রেখে জীবনযাপন করে। আইনজীবীকে দায়িত্বশীলতার সাথে বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
কাউকে সাজা দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া নয়; বরং বিচারের চিরাচরিত নিয়ম হচ্ছে যে, অবশ্যই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু ১৫ বছর ধরে এদেশে অবিচার চলছে। সুতরাং এ জাতির জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নবীন আইনজীবীদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।’
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আইন পেশা একটি ব্যক্তিক্রমী পেশা। সকল নবী ও রাসূলগণের কাজও ছিল ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। দেশের প্রতিটি বিভাগকেই ধ্বংস করা হয়েছে। বিশেষ করে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ন্যায়বিচার এখন সুদূরপরাহত। সুতরাং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আরো অনেক সংগ্রাম করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, এটা শুধু পেশাই নয়। বরং নতুন আইনজীবীদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে যে, এ পেশায় থেকে কীভাবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য সর্বোচ্চ খেদমত করা যায়। এজন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। আইন পেশা নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা ও গবেষণা করতে হবে। আমরা আশা করি, আইনজীবীরাই জাতিকে মুক্তির পথ দেখাবে, ইনশাআল্লাহ।’