ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“রংপুরের মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন”

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 177

"রংপুরের মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন"

১৭ ডিসেম্বর রবিবার,রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, মাহবুবার রহমান হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে “মানববন্ধন” কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে নিহত চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে হত্যাকারী হারুন এবং তার মদদদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার পরিবার এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগন।

বিকাল সাড়ে ৪ টায় মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রাবন্দ বাজার সংলগ্ন ভাংনী মাঠেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু-পাশে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতশত লোক দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ০৪ -নং ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া,০৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাষ্টার,বাজার কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান,ওলামা মা-শায়েখের পক্ষ থেকে হাফেজ মোঃ আব্দুস সামাদ এবং চেয়ারম্যানের বড় ছেলে লাবিব আহসান।

পায়রাবন্দ বাজার কমিটির সভাপতি,মিজানুর রহমান বলেন,মরহুম মাহবুবার রহমান সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে ছিলেন। বিশেষ একটি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করে তাঁর নেতৃত্ব শূন্য করে পায়রাবন্দ বাসীকে এতিম করেছেন।হাফেজ আব্দুস ছামাদ বলেন,ঘটনার পরেই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।কিন্তু পায়রাবন্দ তথা মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী এখন পর্যন্ত জানতে পারলোনা কারা এর সঙ্গে জড়িত!

০৩ নং ভাংনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা দেখে আসছি,সাধারণত কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে পুলিশ দ্রুতগতিতে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।কিন্তু প্রকাশ্য ভরা বাজারের ভিতর একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হলো কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলার অন্যতম আসামি ঘাতক হারুনের ভাই হাকিমকে এবং হত্যাকান্ডের ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।তিনি বলেন,মিঠাপুকুর বাসী মনে করেন,হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং প্রকৃত অপরাধীকে পুলিশ আড়ালে রেখেছে।আমরা জন প্রতিনিধীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।চেয়ারম্যান হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারলে তা হবে অন্যায়।নিহত মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে লাবিব হাসান বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন।তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার এই সমস্ত ভালো কাজে একটি পক্ষ তাঁকে হত্যা করার জন্য মরিয়া ছিলো। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন,আমার বাবা হত্যায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।তানাহলে অপরাধী পার পেয়ে যাবে এবং আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবো।

উল্লেখ্য যে,গত ৫ নভেম্বর,রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় পায়রাবন্দ বাজারে তাঁর ঔষধ ফার্মেসি বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে,হারুন নামে এক ব্যক্তি মাছ কাঁটার বটি দিয়ে কুপিয়ে মাহবুবার রহমানকে হত্যা করেন।উত্তেজিত জনতা ঘাতক হারুনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, কি কারনে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে,আর কারা জড়িত?সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।

“রংপুরের মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন”

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

১৭ ডিসেম্বর রবিবার,রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, মাহবুবার রহমান হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে “মানববন্ধন” কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে নিহত চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে হত্যাকারী হারুন এবং তার মদদদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার পরিবার এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগন।

বিকাল সাড়ে ৪ টায় মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রাবন্দ বাজার সংলগ্ন ভাংনী মাঠেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু-পাশে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতশত লোক দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ০৪ -নং ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া,০৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাষ্টার,বাজার কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান,ওলামা মা-শায়েখের পক্ষ থেকে হাফেজ মোঃ আব্দুস সামাদ এবং চেয়ারম্যানের বড় ছেলে লাবিব আহসান।

পায়রাবন্দ বাজার কমিটির সভাপতি,মিজানুর রহমান বলেন,মরহুম মাহবুবার রহমান সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে ছিলেন। বিশেষ একটি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করে তাঁর নেতৃত্ব শূন্য করে পায়রাবন্দ বাসীকে এতিম করেছেন।হাফেজ আব্দুস ছামাদ বলেন,ঘটনার পরেই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।কিন্তু পায়রাবন্দ তথা মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী এখন পর্যন্ত জানতে পারলোনা কারা এর সঙ্গে জড়িত!

০৩ নং ভাংনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা দেখে আসছি,সাধারণত কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে পুলিশ দ্রুতগতিতে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।কিন্তু প্রকাশ্য ভরা বাজারের ভিতর একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হলো কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলার অন্যতম আসামি ঘাতক হারুনের ভাই হাকিমকে এবং হত্যাকান্ডের ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।তিনি বলেন,মিঠাপুকুর বাসী মনে করেন,হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং প্রকৃত অপরাধীকে পুলিশ আড়ালে রেখেছে।আমরা জন প্রতিনিধীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।চেয়ারম্যান হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারলে তা হবে অন্যায়।নিহত মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে লাবিব হাসান বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন।তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার এই সমস্ত ভালো কাজে একটি পক্ষ তাঁকে হত্যা করার জন্য মরিয়া ছিলো। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন,আমার বাবা হত্যায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।তানাহলে অপরাধী পার পেয়ে যাবে এবং আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবো।

উল্লেখ্য যে,গত ৫ নভেম্বর,রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় পায়রাবন্দ বাজারে তাঁর ঔষধ ফার্মেসি বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে,হারুন নামে এক ব্যক্তি মাছ কাঁটার বটি দিয়ে কুপিয়ে মাহবুবার রহমানকে হত্যা করেন।উত্তেজিত জনতা ঘাতক হারুনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, কি কারনে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে,আর কারা জড়িত?সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।