ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু, আহত মা হাসপাতালে Logo কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ Logo আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত Logo আ.লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির শাসন দেখার কিছু নেই: চরমোনাই পীর Logo মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯৮ পেয়ে প্রথম হলেন জবি শিবির নেতা Logo ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভেবে পাকিস্তান অনেকদিন ঘুমাতে পারবে না: মোদি Logo জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: বিডা চেয়ারম্যান Logo সুন্দরগঞ্জে প্রেসক্লাবের বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি মানিক গ্রেফতার

ফরিদপুরে ৩ মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবক গ্রেফতার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক রাতে তিনটি মন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান।

গ্রেফতার ওই যুবকের নাম সনাতন মালো ওরফে সোনাই মালো (৪৫)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের মৃত নিতাই মালোর ছেলে।

বিজয় দিবসের রাতে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কুশুমদী মহল্লার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, শ্রী বিষ্ণু পাগলের মন্দির এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলফাডাঙ্গা মহল্লার শ্রীশ্রী দামুদর আখড়া মন্দিরে ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে হরি মন্দিরের দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মনসা ও মহাদেব; বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের মহাদেব ও মনসা এবং দামুদর আখড়া মন্দিরের মহাদেব, শিবলিঙ্গ ও নারায়ণ—১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এব্যাপারে পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনার পরে বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই রাতে ২টা ১৫ মিনিটের দিকে এক ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশ করে এবং রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে বের হয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম পরিচয় বেরিয়ে আসে। এরপর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাই মালোকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেফতারের পর আসামী সনাতন মালো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো বলে যে, সাপ তাকে দুই বছর যাবত স্বপ্নে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তাই তিনি বিভিন্ন পূজামন্ডপে যেসব মূর্তি ও প্রতিমার সাথে শিব বা মহাদেবের মূর্তি আছে সেগুলোর মুখমণ্ডল হাত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। কারণ শিব বা মহাদেবের গলয়া সাপ জড়ানো থাকে। পাশাপাশি মূর্তির সাথে মাটির তৈরি যে সাপ থাকে সেগুলোও ভেঙে ফেলেন। সোনাই মালো আরো জানান, বিষ্ণু পাগলের মন্দিরে রক্ষিত দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষ্মীর যে প্রতিমা আছে সেগুলো আসল না এবং তারাও সাপের রূপ ধারণ করে তাকে ভয় দেখায়। এ কারণে ওই মূর্তিগুলোর মুখ তিনি ভেঙে দেন।

এদিকে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন করে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ সনাতনী বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের

ফরিদপুরে ৩ মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবক গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক রাতে তিনটি মন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান।

গ্রেফতার ওই যুবকের নাম সনাতন মালো ওরফে সোনাই মালো (৪৫)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের মৃত নিতাই মালোর ছেলে।

বিজয় দিবসের রাতে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কুশুমদী মহল্লার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, শ্রী বিষ্ণু পাগলের মন্দির এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলফাডাঙ্গা মহল্লার শ্রীশ্রী দামুদর আখড়া মন্দিরে ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে হরি মন্দিরের দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মনসা ও মহাদেব; বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের মহাদেব ও মনসা এবং দামুদর আখড়া মন্দিরের মহাদেব, শিবলিঙ্গ ও নারায়ণ—১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এব্যাপারে পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনার পরে বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই রাতে ২টা ১৫ মিনিটের দিকে এক ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশ করে এবং রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে বের হয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম পরিচয় বেরিয়ে আসে। এরপর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাই মালোকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেফতারের পর আসামী সনাতন মালো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো বলে যে, সাপ তাকে দুই বছর যাবত স্বপ্নে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তাই তিনি বিভিন্ন পূজামন্ডপে যেসব মূর্তি ও প্রতিমার সাথে শিব বা মহাদেবের মূর্তি আছে সেগুলোর মুখমণ্ডল হাত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। কারণ শিব বা মহাদেবের গলয়া সাপ জড়ানো থাকে। পাশাপাশি মূর্তির সাথে মাটির তৈরি যে সাপ থাকে সেগুলোও ভেঙে ফেলেন। সোনাই মালো আরো জানান, বিষ্ণু পাগলের মন্দিরে রক্ষিত দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষ্মীর যে প্রতিমা আছে সেগুলো আসল না এবং তারাও সাপের রূপ ধারণ করে তাকে ভয় দেখায়। এ কারণে ওই মূর্তিগুলোর মুখ তিনি ভেঙে দেন।

এদিকে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন করে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ সনাতনী বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।