ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল ও সদস্যসচিব লিটন Logo কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুফতি আমীর হামজা Logo ঢাবি ভিসির হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকড, টাকা দাবি হ্যাকারদের Logo চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিব Logo কেরানীগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ সক্রিয় ডাকাত দলের ৬ সদস্য আটক Logo ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে কোরবানির বর্জ্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo দুইদিনের রিমান্ডে আইভী Logo মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, ঘাতকের তথ্যে লাশ উদ্ধার Logo কুরবানির জন্য পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার Logo এখনো মোবাইল রিচার্জে টাকা কাটা হয় পদ্মা সেতুর জন্য

নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। অপরদিকে আসামিপক্ষে তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য।

এই ঘটনার পর ওইদিন মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল ও সদস্যসচিব লিটন

নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

আপডেট সময় ০২:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। অপরদিকে আসামিপক্ষে তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য।

এই ঘটনার পর ওইদিন মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।