ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করছে : ট্রাম্প

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১২:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 172

অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করছে : ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অনথিভুক্ত অবৈধ অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের রক্ত দূষিত করছে’। এর আগেও ট্রাম্প এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের ওই সব মন্তব্য জেনোফোবিক (বহিরাগত বা অপরিচিত মানুষের প্রতি ভীতি) এবং নািস বক্তব্যের প্রতিধ্বনি বলে সমালোচিতও হয়েছে।

নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি প্রচারাভিযানের অনুষ্ঠানে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী অতিক্রমের চেষ্টার সমালোচনা করেন।

এ সময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসন রোধ ও বৈধ অভিবাসন সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ডসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

ডারহাম শহরে এক সমাবেশে দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আমাদের দেশের রক্ত বিষিয়ে তুলছে। সমগ্র বিশ্ব থেকে তারা আমাদের দেশে এসে জুটেছে।

ডানঘেঁষা ওয়েবসাইট দ্য ন্যাশনাল পালসে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ঠিক ‘বিষাক্ত রক্তের’ কথাটিই উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছিল অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগ। সংগঠনটির নেতা জোনাথন গ্লিনব্যাট ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক ও ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের এই ভাষা নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। হিটলার তাঁর লেখা রাজনৈতিক গ্রন্থ ‘মাইন ক্যাম্ফ’ বইতে জার্মান রক্ত ইহুদিদের মাধ্যমে দূষিত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।

স্ট্যানলি বলেন, ‘তিনি এই শব্দগুলোকে বিভিন্ন সমাবেশে বারবার প্রয়োগ করছেন। বারবার বিপজ্জনক বক্তব্য দিলে সেটি স্বাভাবিক হতে থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভীষণ উদ্বেগজনক আলোচনা।

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করছে : ট্রাম্প

আপডেট সময় ১২:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অনথিভুক্ত অবৈধ অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের রক্ত দূষিত করছে’। এর আগেও ট্রাম্প এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের ওই সব মন্তব্য জেনোফোবিক (বহিরাগত বা অপরিচিত মানুষের প্রতি ভীতি) এবং নািস বক্তব্যের প্রতিধ্বনি বলে সমালোচিতও হয়েছে।

নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি প্রচারাভিযানের অনুষ্ঠানে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী অতিক্রমের চেষ্টার সমালোচনা করেন।

এ সময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসন রোধ ও বৈধ অভিবাসন সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ডসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

ডারহাম শহরে এক সমাবেশে দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আমাদের দেশের রক্ত বিষিয়ে তুলছে। সমগ্র বিশ্ব থেকে তারা আমাদের দেশে এসে জুটেছে।

ডানঘেঁষা ওয়েবসাইট দ্য ন্যাশনাল পালসে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ঠিক ‘বিষাক্ত রক্তের’ কথাটিই উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছিল অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগ। সংগঠনটির নেতা জোনাথন গ্লিনব্যাট ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক ও ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের এই ভাষা নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। হিটলার তাঁর লেখা রাজনৈতিক গ্রন্থ ‘মাইন ক্যাম্ফ’ বইতে জার্মান রক্ত ইহুদিদের মাধ্যমে দূষিত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।

স্ট্যানলি বলেন, ‘তিনি এই শব্দগুলোকে বিভিন্ন সমাবেশে বারবার প্রয়োগ করছেন। বারবার বিপজ্জনক বক্তব্য দিলে সেটি স্বাভাবিক হতে থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভীষণ উদ্বেগজনক আলোচনা।