ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা Logo ভিক্টোরিয়া অধ্যক্ষের টালবাহান বছরেও হয়নি তামিম নির্যাতনের বিচার Logo সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে বাঙলা কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল Logo প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে বিএনপি নেতা, গাছে বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা Logo ঢাকায় এলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জাট Logo দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মশাল মিছিল Logo ‘৫ কোটি টাকা’ চাঁদা না পেয়ে অস্ত্র নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি Logo এবার মৌলভীবাজারে আরেক ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ Logo পক্ষে ও বিপক্ষের সবাই ছাত্রদলের কাছে নিরাপদ: রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক Logo নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকার উদ্যোগে দেশীয় ফল উৎসব

৭ স্ত্রী নিয়ে একই ছাদের নিচে সুখের সংসার রবিজুলের

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 295

৭ স্ত্রী নিয়ে একই ছাদের নিচে সুখের সংসার রবিজুলের

একটি দুটি তিনটি নয়, সাত সাতটি বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৮)। বর্তমানে সাত বউকে নিয়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তিনি খুব সুখেই সংসার করছেন। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। রবিজুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ী গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে।

তাঁর স্ত্রীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডমবলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)। রবিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলেসন্তান। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেই সমস্যার বিষয়টি আমি জানি না।

আমার মা মানত করেছিলেন, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দেবেন। মায়ের মনের আশা পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাত বউই খুব ভালো।

স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। স্ত্রীরা আদর-যত্ম করে। তারা খুব ভালোবাসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম।

দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখানোর সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি গাড়ি চালাই এবং গাড়ি চালানো শেখাই। এসব উপার্জন দিয়ে আমার সংসার চলে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করি। তার দুইটা ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করি। তার এক মেয়ে আছে। এক বছর আগে স্বপ্নাকে বিয়ে করি। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। সবাই খুবই ভালো। পরস্পর আপন বোনের মতো সম্পর্ক সবার। কখনো ঝগড়াঝাঁটি করে না। একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে, সংসার করে।

স্থানীয়রা জানায়, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করেন। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছেন।

তার এক স্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারা দিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গে সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করে না। কেউ কম কাজ করল বা বেশি কাজ করল, তাতে কিছু যায়-আসে না। আমরা জেনেশুনে বিয়ে করেছি। আমাদের মন খারাপ হয় না। আমাদের স্বামীও খুবই ভালো মানুষ।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা

৭ স্ত্রী নিয়ে একই ছাদের নিচে সুখের সংসার রবিজুলের

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

একটি দুটি তিনটি নয়, সাত সাতটি বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৮)। বর্তমানে সাত বউকে নিয়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তিনি খুব সুখেই সংসার করছেন। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। রবিজুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ী গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে।

তাঁর স্ত্রীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডমবলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)। রবিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলেসন্তান। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেই সমস্যার বিষয়টি আমি জানি না।

আমার মা মানত করেছিলেন, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দেবেন। মায়ের মনের আশা পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাত বউই খুব ভালো।

স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। স্ত্রীরা আদর-যত্ম করে। তারা খুব ভালোবাসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম।

দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখানোর সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি গাড়ি চালাই এবং গাড়ি চালানো শেখাই। এসব উপার্জন দিয়ে আমার সংসার চলে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করি। তার দুইটা ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করি। তার এক মেয়ে আছে। এক বছর আগে স্বপ্নাকে বিয়ে করি। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। সবাই খুবই ভালো। পরস্পর আপন বোনের মতো সম্পর্ক সবার। কখনো ঝগড়াঝাঁটি করে না। একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে, সংসার করে।

স্থানীয়রা জানায়, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করেন। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছেন।

তার এক স্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারা দিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গে সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করে না। কেউ কম কাজ করল বা বেশি কাজ করল, তাতে কিছু যায়-আসে না। আমরা জেনেশুনে বিয়ে করেছি। আমাদের মন খারাপ হয় না। আমাদের স্বামীও খুবই ভালো মানুষ।