ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।

গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।

শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।

২৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোনো পর্যায়েই সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাতের ছেলেরা। ইনিংসের প্রথম বলটা চার মেরে শুরু করলেও টাইগার পেসারদের সামনে অসহায় হয়েই থাকতে হয়েছে তাদের। অর্জুন শর্মাকে সাজঘরে ফেরান এই টুর্নামেন্টে তারকা হয়ে ওঠা পেসার মারুফ মৃধা। দলের রান তখন ১২। দলীয় ২৮ রানের সময় আবারও তার আঘাত। এবার ফিরলেন অক্ষত রাই।

৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার।

৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।

তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।

শেষ উইকেটের জন্য খানিক সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৬:০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।

গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।

শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।

২৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোনো পর্যায়েই সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাতের ছেলেরা। ইনিংসের প্রথম বলটা চার মেরে শুরু করলেও টাইগার পেসারদের সামনে অসহায় হয়েই থাকতে হয়েছে তাদের। অর্জুন শর্মাকে সাজঘরে ফেরান এই টুর্নামেন্টে তারকা হয়ে ওঠা পেসার মারুফ মৃধা। দলের রান তখন ১২। দলীয় ২৮ রানের সময় আবারও তার আঘাত। এবার ফিরলেন অক্ষত রাই।

৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার।

৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।

তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।

শেষ উইকেটের জন্য খানিক সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।