কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন আমিরের নাম ঘোষণা করেছে দেশটি। নতুন আমির হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ।
ক্রাউন প্রিন্স মিশাল নতুন আমির হবেন সেটি জানা ছিল। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার মন্ত্রী শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে নাওয়াফের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।
সদ্য প্রয়াত নাওয়াফ ২০২০ সালে আমির হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় থেকেই নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০২১ সালে চিকিৎসার জন্য একবার যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। ওই সময় থেকেই নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন তিনি। ৮৬ বছর বয়সে আজ তার মৃত্যু হয়েছে।
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুর খবর প্রকাশ হওয়ার পরই গালফ অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই অঞ্চলের অনেক দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন আমিরের দায়িত্ব পাওয়া মিশালও এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তার বর্তমান বয়স ৮৩ বছর। ২০২০ সালে তৎকালীন আমির সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর ৮০ বছর বয়সে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মিশাল। এরমাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বয়স্ক ক্রাউন প্রিন্স’ হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
নাওয়াফ অসুস্থ থাকায় কুয়েতের রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মিশাল। নাওয়াফের বদলে কয়েকদিন আগে মিশাল যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এছাড়া কুয়েতের সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণাও এসেছিল তার মুখ থেকে।
২০২০ সালে মিশালকে যখন ক্রাউন প্রিন্স বানানো হয়; তখন এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। মূলত তার বয়সের কারণেই এমনটি হয়েছিল। তবে বিশ্লেষকরা তখন জানান, কুয়েতের শাসকরা এখনই পরবর্তী প্রজন্মের হাতে শাসনভার দিতে চান না। এ কারণে তরুণদের বদলে বুড়ো মিশালকে ক্রাউন প্রিন্স বানানো হয়েছিল।