আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ‘ডামি নির্বাচন’ করে সরকার ৭ দিনও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেনা, এমনটিই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন। মহান বিজয় দিবসে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাশেদ খাঁন বলেন, আজকে মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫৩ বছর পরে এসেও আমাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ছিলো একটি বৈষম্যহীন, মানবিক মর্যাদা, সাম্য, ন্যায়বিচারের দেশ গঠন করা। কিন্তু আমাদের প্রাপ্তি কিছু কালভার্ট, সেতু, অবকাঠামোগত উন্নয়ন। মানুষের জীবনযাত্রার কোন উন্নয়ন হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সংকট, মূল্যস্ফীতি বাড়তেই আছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সরকার একটি একতরফা ‘ ডামি নির্বাচন ‘ করতে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ একতরফা নির্বাচন মেনে নিবেনা। বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। আমরা সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছি যে, আলোচনায় বসুন। কিন্তু সরকার বিরোধীদলকে তোয়াক্কা করছেনা৷ এমনকি আমেরিকার সংলাপের প্রস্তাবকেও নাকচ করেছে। এরমাধ্যমে দেশকে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ‘ডামি নির্বাচন’ করে সরকার ৭ দিনও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেনা, এমনটিই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরে যেতে বললেও উল্টো তারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু এসব করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে নিরস্ত্র অবস্থায় সাংবিধানিক অধিকার বলে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন থামানোর অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। কেউ যদি ভোটের জন্য সভা সমাবেশ করতে পারে, আমাদেরও অধিকার আছে ভোট বর্জনের আহ্বান করার। আগামী ৭ জানুয়ারি কোন ভোট হচ্ছে না, পাতানো নির্বাচন হবে। সুতরাং জনগণকে পাতানো নির্বাচনে ভোট প্রদানে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। এসময় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো।
এছাড়াও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়, বাংলাদেশ যুব অধিকার,বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ,বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।