ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না: হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি Logo দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে- জগন্নাথের হল দে, রাজপথে শিক্ষার্থীদের লিখনি Logo নোয়াখালী সরকারি কলেজে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি Logo ইসরায়েল গণহত্যাকারী রাষ্ট্র, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo ১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনদুর্ভোগ চরমে Logo ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত: প্রেস সচিব Logo গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রান গেল একই পরিবারের ৩ জনের Logo এবার মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে শাকিবের ‘বরবাদ’

নির্বাচনের ফলাফল লেখা হয়ে গেছে, ৭ তারিখে শুধু ঘোষণা : মঈন খান

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১২:২১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 244

নির্বাচনের ফলাফল লেখা হয়ে গেছে, ৭ তারিখে শুধু ঘোষণা : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল কাগজে কলমে রাজধানীতে লিখে ফেলেছে। আগামী ৭ তারিখে শুধু সেই ফলাফল সরকার ঘোষণা দেবে। কাজেই এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোকা দেওয়া যাবে না।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি নির্বাচনের তফসিল দিয়েছে। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচনে তারা প্রকাশ্যে সব লজ্জা ভুলে গিয়ে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করছে। এটার নাম তো গণতন্ত্র হতে পারে না। যদি সিট ভাগাভাগি করে এমপি নির্ধারিত হয় তাহলে তো এই নির্বাচন ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা কোন বিজয় উদযাপন করতে আসছি তা বর্তমান সরকারকে তুলে ধরতে হবে। এটা কিসের বিজয়, এটা কি এক দলীয় শাসনের বিজয়, নাকি এক নায়কতন্ত্র শাসনের বিজয়? এখানে এমন একটি সরকার চলছে যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, যারা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ৫২ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য। এই জন্য কি করেছিল? তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। আজকে আ.লীগ এই দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজ ৫২ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই প্রশ্ন করতে হবে যে, আওয়ামী লীগ যদি দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিএনপি লগি বৈঠার রাজনীতি করে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। সেই কারণে রাজপথে আছি।

মঈন খান বলেন, মিথ্যা মামলা, হামলা এবং ভুয়া গায়েবি মামলা দিয়ে তারা বিগত ৬ সপ্তাহে আমাদের ২৩ হাজার লোককে কারারুদ্ধ করেছে। এসব ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করে এই দেশে তারা থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে তারা এক এগারোর ভুয়া মামলায় বিদেশে আটকে রেখেছে। তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা জানে যে, এই দেশে কোনো রকমের ধোঁকাবাজি করে এই সরকার থাকতে পারবে না। আগামীতে ইনশাআল্লাহ আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না: হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি

নির্বাচনের ফলাফল লেখা হয়ে গেছে, ৭ তারিখে শুধু ঘোষণা : মঈন খান

আপডেট সময় ১২:২১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল কাগজে কলমে রাজধানীতে লিখে ফেলেছে। আগামী ৭ তারিখে শুধু সেই ফলাফল সরকার ঘোষণা দেবে। কাজেই এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোকা দেওয়া যাবে না।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি নির্বাচনের তফসিল দিয়েছে। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচনে তারা প্রকাশ্যে সব লজ্জা ভুলে গিয়ে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করছে। এটার নাম তো গণতন্ত্র হতে পারে না। যদি সিট ভাগাভাগি করে এমপি নির্ধারিত হয় তাহলে তো এই নির্বাচন ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা কোন বিজয় উদযাপন করতে আসছি তা বর্তমান সরকারকে তুলে ধরতে হবে। এটা কিসের বিজয়, এটা কি এক দলীয় শাসনের বিজয়, নাকি এক নায়কতন্ত্র শাসনের বিজয়? এখানে এমন একটি সরকার চলছে যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, যারা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ৫২ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য। এই জন্য কি করেছিল? তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। আজকে আ.লীগ এই দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজ ৫২ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই প্রশ্ন করতে হবে যে, আওয়ামী লীগ যদি দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিএনপি লগি বৈঠার রাজনীতি করে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। সেই কারণে রাজপথে আছি।

মঈন খান বলেন, মিথ্যা মামলা, হামলা এবং ভুয়া গায়েবি মামলা দিয়ে তারা বিগত ৬ সপ্তাহে আমাদের ২৩ হাজার লোককে কারারুদ্ধ করেছে। এসব ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করে এই দেশে তারা থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে তারা এক এগারোর ভুয়া মামলায় বিদেশে আটকে রেখেছে। তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা জানে যে, এই দেশে কোনো রকমের ধোঁকাবাজি করে এই সরকার থাকতে পারবে না। আগামীতে ইনশাআল্লাহ আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।