ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাইলস্টোন ট্যাজেডি: শিশু আফসান ওহি সুস্থ থাকলে ও এখনো নিখোঁজ তার মা আফসানা প্রিয়া Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ Logo বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের ৫০ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা জামায়াতের Logo একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না : আলী রীয়াজ Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত করার আহব্বান জামায়াতের Logo শিক্ষা ও আইন উপদেষ্টা মাইলস্টোনে অবরুদ্ধ, সাথে আছেন প্রেস সচিব Logo সমাবেশে নিহত রংপুরের শাহআলমের বাসায় যাচ্ছেন আমীরে জামায়াত Logo বার্ন ইউনিটে যাদের অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না,সবাই জীবিত Logo চাঁদাবাজি প্রতিবাদ করায় ছাত্রশিবির কর্মী ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলা আহত ২২, গুলিবিদ্ধ ৩ Logo হাসপাতালে কাউকে ভিড় না করার অনুরোধ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 405

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশ যুবাদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিং করা ভারত যুবারা অলআউট হয় ১৮৮ রানে। এই রান বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখে। তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। ৩৪ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান জিসান আলম (০), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও দলের সেরা ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি (৭)। এখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধ বললে অবশ্য ভুল হবে, ভারত যুবাদের কাছ থেকে ম্যাচটা এক প্রকার বেরই করে নেন দুজন।

নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়ে হতাশা নিয়ে আরিফুল যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের স্কোরে তখন ১৭২ রান। দুজনের জুটির রান ১৩৮। রাজ লিম্বানির বলে উদয় সাহারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

আরিফুল ফেরার সময় জয় থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তখন আর ১৬ রান। এ জন্য অবশ্য আরো দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শিহাব জেমসের পর আহরার আমিনের দৃঢচেতা ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ১০১ বলে ৪৪ রান করেছেন আহরার। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন বাংলাদেশকে ফাইলানের তোলার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন।

ভারত যুবাদের কাঁপিয়ে দেওয়ার আসল কাজটা অবশ্য করেছেন মারুফ মৃধা। এই বাঁহাতি পেসারের তোপে ১৩ রানেই ভারতের টপ অর্ডার ড্রেসিরুমে ফিরে যায়। এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এখান থেকে মুশের খান ও মুরগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত যুবারা। মুশেরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান মাহফুজুর।

তবে সবচেয়ে বাঁধা অভিষেককে ফেরাতে দৃশ্যপটে আবার মারুফ। মারুফের বলে ৬২ রানে থাকা অভিষেক ক্যাচ দেন জিসান আলমের হাতে। শেষ উইকেটে লিম্বানি ও নামান তিওয়ারি ১৬ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ১৮০ ছাড়ান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইলস্টোন ট্যাজেডি: শিশু আফসান ওহি সুস্থ থাকলে ও এখনো নিখোঁজ তার মা আফসানা প্রিয়া

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশ যুবাদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিং করা ভারত যুবারা অলআউট হয় ১৮৮ রানে। এই রান বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখে। তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। ৩৪ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান জিসান আলম (০), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও দলের সেরা ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি (৭)। এখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধ বললে অবশ্য ভুল হবে, ভারত যুবাদের কাছ থেকে ম্যাচটা এক প্রকার বেরই করে নেন দুজন।

নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়ে হতাশা নিয়ে আরিফুল যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের স্কোরে তখন ১৭২ রান। দুজনের জুটির রান ১৩৮। রাজ লিম্বানির বলে উদয় সাহারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

আরিফুল ফেরার সময় জয় থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তখন আর ১৬ রান। এ জন্য অবশ্য আরো দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শিহাব জেমসের পর আহরার আমিনের দৃঢচেতা ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ১০১ বলে ৪৪ রান করেছেন আহরার। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন বাংলাদেশকে ফাইলানের তোলার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন।

ভারত যুবাদের কাঁপিয়ে দেওয়ার আসল কাজটা অবশ্য করেছেন মারুফ মৃধা। এই বাঁহাতি পেসারের তোপে ১৩ রানেই ভারতের টপ অর্ডার ড্রেসিরুমে ফিরে যায়। এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এখান থেকে মুশের খান ও মুরগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত যুবারা। মুশেরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান মাহফুজুর।

তবে সবচেয়ে বাঁধা অভিষেককে ফেরাতে দৃশ্যপটে আবার মারুফ। মারুফের বলে ৬২ রানে থাকা অভিষেক ক্যাচ দেন জিসান আলমের হাতে। শেষ উইকেটে লিম্বানি ও নামান তিওয়ারি ১৬ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ১৮০ ছাড়ান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।