ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 460

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশ যুবাদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিং করা ভারত যুবারা অলআউট হয় ১৮৮ রানে। এই রান বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখে। তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। ৩৪ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান জিসান আলম (০), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও দলের সেরা ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি (৭)। এখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধ বললে অবশ্য ভুল হবে, ভারত যুবাদের কাছ থেকে ম্যাচটা এক প্রকার বেরই করে নেন দুজন।

নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়ে হতাশা নিয়ে আরিফুল যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের স্কোরে তখন ১৭২ রান। দুজনের জুটির রান ১৩৮। রাজ লিম্বানির বলে উদয় সাহারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

আরিফুল ফেরার সময় জয় থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তখন আর ১৬ রান। এ জন্য অবশ্য আরো দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শিহাব জেমসের পর আহরার আমিনের দৃঢচেতা ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ১০১ বলে ৪৪ রান করেছেন আহরার। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন বাংলাদেশকে ফাইলানের তোলার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন।

ভারত যুবাদের কাঁপিয়ে দেওয়ার আসল কাজটা অবশ্য করেছেন মারুফ মৃধা। এই বাঁহাতি পেসারের তোপে ১৩ রানেই ভারতের টপ অর্ডার ড্রেসিরুমে ফিরে যায়। এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এখান থেকে মুশের খান ও মুরগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত যুবারা। মুশেরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান মাহফুজুর।

তবে সবচেয়ে বাঁধা অভিষেককে ফেরাতে দৃশ্যপটে আবার মারুফ। মারুফের বলে ৬২ রানে থাকা অভিষেক ক্যাচ দেন জিসান আলমের হাতে। শেষ উইকেটে লিম্বানি ও নামান তিওয়ারি ১৬ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ১৮০ ছাড়ান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশ যুবাদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিং করা ভারত যুবারা অলআউট হয় ১৮৮ রানে। এই রান বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখে। তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। ৩৪ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান জিসান আলম (০), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও দলের সেরা ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি (৭)। এখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধ বললে অবশ্য ভুল হবে, ভারত যুবাদের কাছ থেকে ম্যাচটা এক প্রকার বেরই করে নেন দুজন।

নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়ে হতাশা নিয়ে আরিফুল যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের স্কোরে তখন ১৭২ রান। দুজনের জুটির রান ১৩৮। রাজ লিম্বানির বলে উদয় সাহারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

আরিফুল ফেরার সময় জয় থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তখন আর ১৬ রান। এ জন্য অবশ্য আরো দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শিহাব জেমসের পর আহরার আমিনের দৃঢচেতা ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ১০১ বলে ৪৪ রান করেছেন আহরার। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন বাংলাদেশকে ফাইলানের তোলার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন।

ভারত যুবাদের কাঁপিয়ে দেওয়ার আসল কাজটা অবশ্য করেছেন মারুফ মৃধা। এই বাঁহাতি পেসারের তোপে ১৩ রানেই ভারতের টপ অর্ডার ড্রেসিরুমে ফিরে যায়। এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এখান থেকে মুশের খান ও মুরগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত যুবারা। মুশেরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান মাহফুজুর।

তবে সবচেয়ে বাঁধা অভিষেককে ফেরাতে দৃশ্যপটে আবার মারুফ। মারুফের বলে ৬২ রানে থাকা অভিষেক ক্যাচ দেন জিসান আলমের হাতে। শেষ উইকেটে লিম্বানি ও নামান তিওয়ারি ১৬ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ১৮০ ছাড়ান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।