লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় আটক ১৩৬ জনকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) লিবিয়ার বেনগাজী হতে বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চাটার্ড ফ্লাইটযোগে তাদের দেশে আনা হয়।
এর আগে ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর গত ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আর আজ ১৩৬ জনকে।
এসব বাংলাদেশি নাগরিক আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেন। তিনি বাড়িতে ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন। মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির প্রচেষ্টায় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব শিগগির আরও অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে সর্বমোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।