আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযত থাকার ও সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, আমরা নির্বাচনকে ভুয়া তথ্য সম্বলিত প্রচারণার উদ্বেগজনক খবর দেখেছি। এটি গণতান্ত্রিক চর্চাকে প্রভাবিত করতে বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ। বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর খবরে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে সংযম পালন ও সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানাই।’
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘সবাই যাতে স্বাধীনভাবে কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা ছাড়াই নির্বাচনের আগে সব প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে সে জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, শক্তিশালী গণতন্ত্রে সবাই স্বাধীনভাবে কথা বলার ও মতবিনিময়ের সুযোগ পায়। আগামী নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না এমন প্রশ্ন ওঠেছিল সংবাদ ব্রিফিংয়ে। জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কখনো আগে থেকে অনুমান করে না।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আহ্বান জানাবে কি না—ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। শ্রীলঙ্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা সব সময় দুর্নীতির জবাবদিহিতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।