ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একদিনে বিএনপির ১০৯ জন নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

  • আর. আমিন
  • আপডেট সময় ১০:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 179

রবিউল আলম রবিসহ বিএনপির ১০৯ জনের কারাদণ্ড

নাশকতার পুরোনো মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ৪৯ জন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ছয়টি মামলায় এসব রায় দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তিনটি আদালত।

ধানমন্ডি থানার মামলায় বিএনপির ২২ জনের কারাদণ্ড : ২০১৮ সালে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রবি ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড : কামরাঙ্গীরচর থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফারকে (৪৩) তিন ধারায় চার বছর কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর তিন আসামি জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে একবছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মে এসআই মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন খালাস : এদিকে হাজারীবাগ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ জন আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লন্ডন চৌধুরী।

গুলশান থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড : ১০ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।

উত্তরখান থানার দুই মামলায় ৬৭ জনের কারাদণ্ড : ২০১৮ সালে করা দক্ষিণখান থানার দুই নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

একদিনে বিএনপির ১০৯ জন নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১০:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নাশকতার পুরোনো মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ৪৯ জন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ছয়টি মামলায় এসব রায় দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তিনটি আদালত।

ধানমন্ডি থানার মামলায় বিএনপির ২২ জনের কারাদণ্ড : ২০১৮ সালে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রবি ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড : কামরাঙ্গীরচর থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফারকে (৪৩) তিন ধারায় চার বছর কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর তিন আসামি জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে একবছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মে এসআই মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন খালাস : এদিকে হাজারীবাগ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ জন আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লন্ডন চৌধুরী।

গুলশান থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড : ১০ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।

উত্তরখান থানার দুই মামলায় ৬৭ জনের কারাদণ্ড : ২০১৮ সালে করা দক্ষিণখান থানার দুই নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।