ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন শিবির সভাপতির

মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন শিবির সভাপতির

সারাদেশে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘব এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করতে আজ বুধবার থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের পরিচালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান। এ সময় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, “ইসলাম মানবতার ধর্ম। প্রত্যেক মুসলমান একেকজন মানবাধিকার কর্মী। ঈমানি দায়িত্ব থেকে, আর্তমানবতার কল্যাণে ইসলামী ছাত্রশিবিরের লাখো কর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। দেশের যেকোনো সংকট ও দুর্যোগে ছাত্রশিবির একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দেশজুড়ে মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মী কমপক্ষে একটি করে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ছাত্রশিবিরের লাখো কর্মী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ। শুধু নিজেরা নয়, বরং সমাজের বিত্তবানদেরও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান ও উদ্বুদ্ধ করে ছাত্রশিবির। আমরা আশা করি, দেশের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিত্তবানরা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

শিবির সভাপতি বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবের মূল দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকার বিন্দুমাত্র দায়িত্ব পালন করছে না। বরং দলীয় লোকদের জন্যই তাদের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। সুতরাং জনগণের পক্ষ থেকে এই সরকারের প্রতি কোনো প্রত্যাশা নেই; বরং অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি রয়েছে।”

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সরকার ও নেতৃত্ব চাই, যারা সত্যিকার অর্থে আর্তমানবতার সেবায় ও মানুষের কষ্ট লাঘবে দায়িত্ব পালন করবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের লক্ষ্যও তাই। ছাত্রশিবির এমন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে মানুষের কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। যেখানে আপামর জনতা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

আমরা সেই সমাজ বিনির্মাণের জন্য সবাই ভূমিকা পালন করছি। যদিও আমাদের গঠনমূলক কাজগুলো থামিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু শত বাধা ও প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা থেমে যাইনি এবং থেমে যাব না, ইনশাআল্লাহ। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন গঠনমূলক কাজ যেন অব্যাহত রাখতে পারে, এজন্য আমরা সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন শিবির সভাপতির

আপডেট সময় ০৯:২১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সারাদেশে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘব এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করতে আজ বুধবার থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের পরিচালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান। এ সময় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, “ইসলাম মানবতার ধর্ম। প্রত্যেক মুসলমান একেকজন মানবাধিকার কর্মী। ঈমানি দায়িত্ব থেকে, আর্তমানবতার কল্যাণে ইসলামী ছাত্রশিবিরের লাখো কর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। দেশের যেকোনো সংকট ও দুর্যোগে ছাত্রশিবির একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দেশজুড়ে মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মী কমপক্ষে একটি করে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ছাত্রশিবিরের লাখো কর্মী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ। শুধু নিজেরা নয়, বরং সমাজের বিত্তবানদেরও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান ও উদ্বুদ্ধ করে ছাত্রশিবির। আমরা আশা করি, দেশের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিত্তবানরা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

শিবির সভাপতি বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবের মূল দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকার বিন্দুমাত্র দায়িত্ব পালন করছে না। বরং দলীয় লোকদের জন্যই তাদের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। সুতরাং জনগণের পক্ষ থেকে এই সরকারের প্রতি কোনো প্রত্যাশা নেই; বরং অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি রয়েছে।”

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সরকার ও নেতৃত্ব চাই, যারা সত্যিকার অর্থে আর্তমানবতার সেবায় ও মানুষের কষ্ট লাঘবে দায়িত্ব পালন করবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের লক্ষ্যও তাই। ছাত্রশিবির এমন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে মানুষের কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। যেখানে আপামর জনতা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

আমরা সেই সমাজ বিনির্মাণের জন্য সবাই ভূমিকা পালন করছি। যদিও আমাদের গঠনমূলক কাজগুলো থামিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু শত বাধা ও প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা থেমে যাইনি এবং থেমে যাব না, ইনশাআল্লাহ। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন গঠনমূলক কাজ যেন অব্যাহত রাখতে পারে, এজন্য আমরা সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।