প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নাশকতার করছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গণভবনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে, রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার পরিকল্পনা করে, মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ বলে কিচ্ছু নেই। এটা জনগণকেই প্রতিহত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আগের রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গ্যাস কাটার মেশিন দিয়ে প্রায় ২০ ফুট রেল ট্র্যাক কাটার ফলে নেত্রকোনা থেকে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের আটটি বগি গাজীপুরে লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তার মানে কী? এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের কাজ বিএনপি সন্ত্রাসীরা করেছে, সেটা সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়েছে। কাজেই আমরা সেখানে মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি। কিন্তু এটা হয়েছে একেবারে ভোর রাতের দিকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ, এর নাম আন্দোলন! তার মানে হচ্ছে রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা। মানুষকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করবে? মানুষ হত্যা করে আন্দোলন? আমি জানি না এই আন্দোলন করে কী পাবে তারা। বিএনপি যে এই জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল অবরোধ মানে কী কয়েকটা বাস, গাড়ি এবং যাত্রীসহ বাস পোড়ানো?
বিএনপি চাল ও ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে ক্ষুধায় রেখে হত্যাই এর উদ্দেশ্য। এ ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না তাদের কোনো মতে কেউ থামাতে পারবেন কিনা। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, তারা জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার কোনো চেষ্টা আমাদের নেই। আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নতি করছি এবং দেশে যে উন্নতি হয়েছে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে।