ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 166

বাংলাদেশকে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফবাংলাদেশকে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করা হলে বাংলাদেশ ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার চলতি মাসেই পাবে। গত ৩০ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ফেব্রুয়ারির শুরুতে পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ গত জুলাই মাসে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করার পর শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদ। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে পুরো ঋণ ছাড় হওয়ার কথা।

ঋণের গড় সুদের হার ২.২ শতাংশ। ৪৭০ কোটি ডলারের মধ্যে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। বর্ধিত ঋণ সহায়তা এবং বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার।

ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ে সক্ষমতা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা, আর্থিক খাত শক্তিশালী করা, নীতি কাঠামো আধুনিক করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কাজে এই ঋণ সাহায্য করবে।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় দেওয়া শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে অন্যান্য শর্তে কিছু অগ্রগতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করায় দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে ছিল সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

আইএমএফের ঋণ ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে চলতি মাসে আরো প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে এসব সংস্থা ঋণ ছাড় করলে দেড় বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। এসব অর্থ যুক্ত হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়বে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

বাংলাদেশকে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করা হলে বাংলাদেশ ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার চলতি মাসেই পাবে। গত ৩০ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ফেব্রুয়ারির শুরুতে পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ গত জুলাই মাসে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করার পর শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদ। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে পুরো ঋণ ছাড় হওয়ার কথা।

ঋণের গড় সুদের হার ২.২ শতাংশ। ৪৭০ কোটি ডলারের মধ্যে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। বর্ধিত ঋণ সহায়তা এবং বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার।

ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ে সক্ষমতা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা, আর্থিক খাত শক্তিশালী করা, নীতি কাঠামো আধুনিক করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কাজে এই ঋণ সাহায্য করবে।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় দেওয়া শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে অন্যান্য শর্তে কিছু অগ্রগতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করায় দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে ছিল সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

আইএমএফের ঋণ ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে চলতি মাসে আরো প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে এসব সংস্থা ঋণ ছাড় করলে দেড় বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। এসব অর্থ যুক্ত হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়বে।