ভারত থেকে রফতানি বন্ধের খবরে দেশে পেঁয়াজ মজুদ ও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা টিম মাঠে কাজ করছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে শনিবার দুপুর থেকে ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই সময়ে কেউ যদি কালোবাজারি করে, পেঁয়াজ মজুদ করে, বেশি দামে বিক্রির করার পাঁয়তারা করে; তাহলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, আগে প্রতিটন পেঁয়াজ ২ থেকে ৩শ মার্কিন ডলার মূল্যে ভারত রফতানি করতো। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম উর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে গত ২৮ অক্টোবর রফতানি মূল্য অনেকটা বাড়িয়ে একলাফে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। এরপর থেকে সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি ভারতে আবারও বন্যা হওয়ায় এবার চার মাসের জন্য স্থগিত করেছে ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারা কোনও পেঁয়াজ রফতানি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমারের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশনা জারি করে। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। এই খবরেই গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।
আজ রবিবার রজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ প্রতি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারভেদে এই দাম একেক জায়গায় একেক রকম।