ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 294

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘরের মাঠ ব্রিজটাউনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের সুবাদে ২০০৭ সালের পর ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজতিন সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অভিষিক্ত পেসার ম্যাথিউ ফোর্ডের। ২৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করা এই পেসার শেষ দিকে বিপদের সময় ব্যাট হাতে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৩ রান। ২১ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় তারকা দুর্দান্ত পারফর্মম্যান্সের করে।

এদিন বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করতে না পারায় ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারের প্রথম ইনিংস খেলে ৯ উইকেটে ২০৬ তোলে ইংল্যান্ড।জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাট শুরু করার আগে ফের হানা দেয় বৃষ্টি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩৪ ওভারে ১৮৮ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা। চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে ক্যারিবীয়রা।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফোর্ডের দুর্দান্ত স্পেলে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর দলের হাল ধরেন বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৭১ রান করেন ডাকেট, ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ফেরত যান লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে ইংলিশরা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর অ্যালিক অ্যাথানাজি ও ক্যাসি কার্টির জুটিতে এগিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ফিফটি হাঁকান কার্টি (৫৮ বলে ৫০)। অ্যালিক খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে এসে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল শাই হোপের দলের সিরিজ জয়। ১৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা।

তবে শঙ্কা কাটিয়ে রোমারিও শেপহ্যার্ড ও ফোর্ডের ব্যাটে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেপহ্যার্ড করেন ৪১ রানে, সঙ্গে ফোর্ডের ১৩ অবদানে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে তারা। ম্যাচসেরা হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার ফোর্ড। বলেন, ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। উইকেটটি একটু কঠিন ছিল। তাই সঠিক লাইন এবং লেন্থ বোলিং করার একটি বিষয় ছিল। যখন আমি ব্যাট করতে আসি, তখন পিচে বল অনেক টার্ন করছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়

আপডেট সময় ১১:৫০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘরের মাঠ ব্রিজটাউনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের সুবাদে ২০০৭ সালের পর ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজতিন সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অভিষিক্ত পেসার ম্যাথিউ ফোর্ডের। ২৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করা এই পেসার শেষ দিকে বিপদের সময় ব্যাট হাতে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৩ রান। ২১ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় তারকা দুর্দান্ত পারফর্মম্যান্সের করে।

এদিন বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করতে না পারায় ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারের প্রথম ইনিংস খেলে ৯ উইকেটে ২০৬ তোলে ইংল্যান্ড।জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাট শুরু করার আগে ফের হানা দেয় বৃষ্টি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩৪ ওভারে ১৮৮ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা। চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে ক্যারিবীয়রা।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফোর্ডের দুর্দান্ত স্পেলে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর দলের হাল ধরেন বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৭১ রান করেন ডাকেট, ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ফেরত যান লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে ইংলিশরা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর অ্যালিক অ্যাথানাজি ও ক্যাসি কার্টির জুটিতে এগিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ফিফটি হাঁকান কার্টি (৫৮ বলে ৫০)। অ্যালিক খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে এসে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল শাই হোপের দলের সিরিজ জয়। ১৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা।

তবে শঙ্কা কাটিয়ে রোমারিও শেপহ্যার্ড ও ফোর্ডের ব্যাটে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেপহ্যার্ড করেন ৪১ রানে, সঙ্গে ফোর্ডের ১৩ অবদানে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে তারা। ম্যাচসেরা হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার ফোর্ড। বলেন, ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। উইকেটটি একটু কঠিন ছিল। তাই সঠিক লাইন এবং লেন্থ বোলিং করার একটি বিষয় ছিল। যখন আমি ব্যাট করতে আসি, তখন পিচে বল অনেক টার্ন করছিল।