ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালো পেঁয়াজের দাম

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই এক লাফে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৫ টাকা। সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ধারণা, আগামী দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজার এলাকার দুটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়ার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৮০ ও ২০০ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতারা জানান, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাজারগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর পেঁয়াজের দামে ভেলকি দেখান বিক্রেতারা। তখন ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা দরে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

মূলত নিজেদের দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে। এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন তারা।

একজন ক্রেতা বলেন, ঢাকায় স্বল্প বেতনে সিকিউরিটির কাজ করি। চোখের পলকে তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বেড়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ চার দিন আগেও ৯৫ টাকা কেজিতে কিনেছি, আজ কিনতে হয়েছে ১৭০ টাকা দরে। অতিরিক্ত টাকা না থাকায় মাত্র আধা কেজি কিনতে হয়েছে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বলেন, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা থেকে দাম বেড়েছে। গত রাতে কারওয়ান বাজার থেকেও বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এখন তো ২০০ টাকার নিচে আছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই পেঁয়াজের দাম ২-৩ দিনের মধ্যে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক আদেশে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত নিজেদের দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালো পেঁয়াজের দাম

আপডেট সময় ০৩:১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই এক লাফে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৫ টাকা। সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ধারণা, আগামী দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজার এলাকার দুটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়ার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৮০ ও ২০০ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতারা জানান, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাজারগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর পেঁয়াজের দামে ভেলকি দেখান বিক্রেতারা। তখন ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা দরে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

মূলত নিজেদের দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে। এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন তারা।

একজন ক্রেতা বলেন, ঢাকায় স্বল্প বেতনে সিকিউরিটির কাজ করি। চোখের পলকে তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বেড়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ চার দিন আগেও ৯৫ টাকা কেজিতে কিনেছি, আজ কিনতে হয়েছে ১৭০ টাকা দরে। অতিরিক্ত টাকা না থাকায় মাত্র আধা কেজি কিনতে হয়েছে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বলেন, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা থেকে দাম বেড়েছে। গত রাতে কারওয়ান বাজার থেকেও বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এখন তো ২০০ টাকার নিচে আছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই পেঁয়াজের দাম ২-৩ দিনের মধ্যে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক আদেশে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত নিজেদের দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।