ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ একত্রিত করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইদ্রিস মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত Logo কর্ণফুলীতে বিষপানের ১৭ দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু Logo মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে গড়ে উঠবে এক নতুন শহর: প্রধান উপদেষ্টা Logo জবিতে প্রথমবারের মতে মার্শাল আর্ট অনুশীলন ক্যাম্প উদ্বোধন, ছয়’শ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আবেদন Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়ল Logo ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানামুখী অপপ্রয়াস চালাচ্ছে Logo টঙ্গীতে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে তথ্য মুছলেন ছাত্রদল নেতা, দিলেন হত্যার হুমকি Logo জোটে থেকে নির্বাচন করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে: ইসি সানাউল্লাহ Logo এবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াসের রিট

হাজার হাজার মৃত মাছ ভেসে আসছে জাপানের সামুদ্র সৈকতে

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 493

হাজার হাজার মৃত মাছ ভেসে আসছে জাপানের সামুদ্র সৈকতে

উত্তর জাপানের প্রধান দ্বীপের দক্ষিণ হাকোদাতে টোই ফিশিং বন্দরের চারপাশে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে ভেসে উঠেছে শত শত মরা মাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তারা এই ধরনের ঘটনা আগে কখনো দেখেননি। জাপানের সংবাদ প্রত্রিকা দ্য আসাহি শিম্বুনের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, কমপক্ষে এক হাজার টন সামুদ্রিক সার্ডিন মাছ এবং কিছু ম্যাকারেল মাছ উপকূলে ভেসে উঠেছে।

এর সংখ্যা আরো বেশিও হতে পারে। স্থানীয় সময় ৭ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে। পচনশীল মাছ পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে সামুদ্রিক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জেলেদের নিয়ে আজ ৯ ডিসেম্বর থেকে এলাকা পরিষ্কার করা শুরু করবে।

শহরের কর্মকর্তারা মানুষকে মরা মাছগুলো না খেতে সতর্ক করেছেন। এ ছাড়া চাষ করা মাছের খাদ্য বা সার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবুও অনেক বাসিন্দা সতর্কতা সত্ত্বেও মরা মাছ বিক্রি বা খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করছে। মাছগুলো পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাপানের হাকোডেট ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ তাকাশি ফুজিওকা বলেন, ‘মাছগুলো মূলত জাপানি সার্ডিন। দৈর্ঘ্যে ১৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটার এবং চব ম্যাকেরেল ২৭ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার লম্বা।’

ফুজিওকা বলেন, ‘মাছগুলো দক্ষিণে হোনশুর মূল দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল এবং সম্ভবত হঠাৎ করে ঠাণ্ডা তাপমাত্রার পানিতে ঢুকে পড়ায় রহস্যজনকভাবে দুর্বল হয়ে মারা গেছে। অথবা বড় মাছ তাড়া করার সময় মাছগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে অথবা বিশাল ঝাঁক বেধে চলার সময় অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।’ তবে মাছগুলোর মৃত্যুর কারণ অজানা। ফুজিওকা আরো বলেছেন, এর আগে এই ধরণের ঘটনা শুনেছেন, তবে বাস্তব জীবনে কখনও দেখেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ একত্রিত করে প্রজ্ঞাপন জারি

হাজার হাজার মৃত মাছ ভেসে আসছে জাপানের সামুদ্র সৈকতে

আপডেট সময় ১২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

উত্তর জাপানের প্রধান দ্বীপের দক্ষিণ হাকোদাতে টোই ফিশিং বন্দরের চারপাশে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে ভেসে উঠেছে শত শত মরা মাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তারা এই ধরনের ঘটনা আগে কখনো দেখেননি। জাপানের সংবাদ প্রত্রিকা দ্য আসাহি শিম্বুনের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, কমপক্ষে এক হাজার টন সামুদ্রিক সার্ডিন মাছ এবং কিছু ম্যাকারেল মাছ উপকূলে ভেসে উঠেছে।

এর সংখ্যা আরো বেশিও হতে পারে। স্থানীয় সময় ৭ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে। পচনশীল মাছ পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে সামুদ্রিক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জেলেদের নিয়ে আজ ৯ ডিসেম্বর থেকে এলাকা পরিষ্কার করা শুরু করবে।

শহরের কর্মকর্তারা মানুষকে মরা মাছগুলো না খেতে সতর্ক করেছেন। এ ছাড়া চাষ করা মাছের খাদ্য বা সার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবুও অনেক বাসিন্দা সতর্কতা সত্ত্বেও মরা মাছ বিক্রি বা খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করছে। মাছগুলো পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাপানের হাকোডেট ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ তাকাশি ফুজিওকা বলেন, ‘মাছগুলো মূলত জাপানি সার্ডিন। দৈর্ঘ্যে ১৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটার এবং চব ম্যাকেরেল ২৭ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার লম্বা।’

ফুজিওকা বলেন, ‘মাছগুলো দক্ষিণে হোনশুর মূল দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল এবং সম্ভবত হঠাৎ করে ঠাণ্ডা তাপমাত্রার পানিতে ঢুকে পড়ায় রহস্যজনকভাবে দুর্বল হয়ে মারা গেছে। অথবা বড় মাছ তাড়া করার সময় মাছগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে অথবা বিশাল ঝাঁক বেধে চলার সময় অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।’ তবে মাছগুলোর মৃত্যুর কারণ অজানা। ফুজিওকা আরো বলেছেন, এর আগে এই ধরণের ঘটনা শুনেছেন, তবে বাস্তব জীবনে কখনও দেখেননি।