ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির সহপৃষ্ঠপোষক ছিল ৯৭টি দেশ।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা রয়েছে। এসব দেশের কোনো একটি বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাব পাস করা যায় না।

ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাব আটকের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেন, প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।

তবে গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এ কারণে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।

রাশিয়ার দূত বলেন, ‘আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি পোড়ামাটি নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ।’ ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গাজা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভিয়েরে। তিনি বলেন, গাজায় সংঘটিত মানবিক দুর্যোগের বিষয়ে ফ্রান্স অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটি। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান এক্সে এ ধন্যবাদ জানান।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১২:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির সহপৃষ্ঠপোষক ছিল ৯৭টি দেশ।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা রয়েছে। এসব দেশের কোনো একটি বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাব পাস করা যায় না।

ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাব আটকের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেন, প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।

তবে গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এ কারণে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।

রাশিয়ার দূত বলেন, ‘আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি পোড়ামাটি নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ।’ ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গাজা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভিয়েরে। তিনি বলেন, গাজায় সংঘটিত মানবিক দুর্যোগের বিষয়ে ফ্রান্স অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটি। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান এক্সে এ ধন্যবাদ জানান।