ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর Logo জিয়াউর রহমানকে ‘নব্য রাজাকার’ আখ্যা দেওয়া নাজমীসহ ২৯ কর্মকর্তার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ বাতিল Logo একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল Logo নাটোরে জামায়াত কর্মীকে মারধর করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ Logo জাকসু নির্বাচনে শিবিরের প‍্যানেল ঘোষণা, ভিপি আরিফুল্লাহ, জিএস মাজহার Logo ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না’ Logo সাদাপাথর লুটে সম্পৃক্ত ৫২ ব্যক্তির নাম প্রকাশ দুদকের Logo নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক Logo হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাইদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার উপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামী নেতা গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিললো ২৩ বস্তা টাকা-স্বর্ণালংকার

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানসিন্দুক খুলে মিলেছে ২৩ বস্তা টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে সিন্দুক খুলে শুরু হয়েছে গণনার কাজ।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে নয়টি লোহার দানসিন্দুক আছে। তিন থেকে চার মাস পরপর এসব সিন্দুক খোলা হয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এবার দানসিন্দুক একটি বাড়ানো হয়েছে। এবারও বিপুল পরিমাণ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা মিলবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানসিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটায় দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢালা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।

টাকা গণনার কাজে মাদ্রাসার দেড় শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী, ব্যাংকের অর্ধশত কর্মী এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যুক্ত আছেন।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলক্ষ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর আলাদাভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছে। সেটির পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রুয়েট প্রকৌশলীদের। তাঁরা যাচাই-বাছাইয়ের পর নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, সকালে সিন্দুক খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনার পর ব্যাংকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিললো ২৩ বস্তা টাকা-স্বর্ণালংকার

আপডেট সময় ১১:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানসিন্দুক খুলে মিলেছে ২৩ বস্তা টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে সিন্দুক খুলে শুরু হয়েছে গণনার কাজ।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে নয়টি লোহার দানসিন্দুক আছে। তিন থেকে চার মাস পরপর এসব সিন্দুক খোলা হয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এবার দানসিন্দুক একটি বাড়ানো হয়েছে। এবারও বিপুল পরিমাণ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা মিলবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানসিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটায় দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢালা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।

টাকা গণনার কাজে মাদ্রাসার দেড় শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী, ব্যাংকের অর্ধশত কর্মী এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যুক্ত আছেন।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলক্ষ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর আলাদাভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছে। সেটির পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রুয়েট প্রকৌশলীদের। তাঁরা যাচাই-বাছাইয়ের পর নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, সকালে সিন্দুক খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনার পর ব্যাংকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে পুলিশ।