অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া ও সিএনবিসি টিভি-১৮ এর খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র বাণিজ্য অধিদপ্তর এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই পদক্ষেপের কারণে জানুয়ারিতে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের পতন ঘটবে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা করে বেড়ে গেছে। দাম দ্রুত উর্ধ্বমুখী হওয়ায় রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ইকোনমিক টাইমস বলছে, সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম বেড়ে যাওয়ায় গত নভেম্বরে সাধারণ সবজি ও নন-ভেজ থালি বা খাবারের দাম বেড়ে যায়। ওই সময় পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম যথাক্রমে ৫৮ ও ৩৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পায়।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার আগে ভারতে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৮০০ ডলার নূন্যতম রপ্তানি মূল্যের কড়াকড়ি চলছিল। গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এটি বহাল থাকার কথা ছিল।
এর আগেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটি। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে। এরই মধ্যে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নতুন করে দাম বাড়ার জন্য চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ খুবই কম। তবে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যেই বাজারে ব্যাপক হারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসবে। এ কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এখন আমদানি করে কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। কারণ নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকায় চলে আসবে।’