বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি।বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাশিয়ায় বিরুদ্ধে অন্তত ১৫ হাজার নিষেধাজ্ঞা আছে, আমরা তা আমলে নেই না। বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মতো যেকোনো বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও থাকবে মস্কো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–২ নিয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশের টেবিলে, কার সঙ্গে করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ সরকার। রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজায় যখন মানুষ মারা যায় তখন পশ্চিমারা কিছু বলেন না; অথচ ইউক্রেনে কিছু হলে এখানে তারা পত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশ করে। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই না।
এর আগে আমেরিকা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে মস্কো অভিযোগ করে। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। গত বুধবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।
কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের মতোই আমেরিকাও বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আর এ নিয়েই রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ঢাকার দূতাবাস কাজ করছে।’
গত ২৩ নভেম্বর মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, ঢাকায় সরকারবিরোধী সমাবেশে বিরোধীদলকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সহায়তা করেছেন। মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এই ধরনের কাজ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থুল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়।’
রাশিয়ার তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করে জন কিরবি বলেন ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটি রাশিয়ার অপপ্রচার। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের রাষ্ট্রদূত সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য সরকার, বিরোধীদল, সিভিল সোসাইটি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।