ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় নারীর জিডি

রাজধানীর আফতাবনগরে একটি কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এক নারী।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

অভিযোগকারী রোমানা আফরোজ নামে ওই নারীর দাবি, মারা যাওয়া কুকি নামের কুকুরের দেখাশোনা করতেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তা কর্মীরা কুকুরটিকে হত্যা করেছে বলে তার সন্দেহ।

জিডিতে রোমানা অভিযোগ করেন, এলাকার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার কয়েক ঘণ্টা পর কুকুরটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কুকুরটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

রোমানা উল্লেখ করেন, তিনি এলাকার ১০টি কুকুরের দেখাশোনা করেন, নিয়মিত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও খাওয়ান। কিন্তু এলাকার কিছু নিরাপত্তারক্ষী কোনো কারণ ছাড়া প্রায়ই কুকুরগুলোকে লাঠি দিয়ে মারেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তারক্ষীরা কুকুরের ক্ষতি করা হবে বলে তাকে হুমকি দেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে রোমানা কুকুরগুলোকে খাওয়াতে গেলে তাদের মধ্যে একটিকে খুঁজে পাননি।

ওই নারী বলেন, আমি তখন নিরাপত্তারক্ষীদের কুকুরটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। তারা প্রথমে কিছু জানার কথা স্বীকার করছিলেন না। পরে তারা জানান, কুকুরটি ট্রাকচাপায় মারা গেছে। খোঁজাখুঁজির পর আমরা এলাকার এম ব্লকের পেছনে কুকুরটির মরদেহ দেখতে পাই। কুকুরটির শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় বেল্টও ছিল না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় নারীর জিডি

আপডেট সময় ০৬:১৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর আফতাবনগরে একটি কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এক নারী।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

অভিযোগকারী রোমানা আফরোজ নামে ওই নারীর দাবি, মারা যাওয়া কুকি নামের কুকুরের দেখাশোনা করতেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তা কর্মীরা কুকুরটিকে হত্যা করেছে বলে তার সন্দেহ।

জিডিতে রোমানা অভিযোগ করেন, এলাকার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার কয়েক ঘণ্টা পর কুকুরটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কুকুরটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

রোমানা উল্লেখ করেন, তিনি এলাকার ১০টি কুকুরের দেখাশোনা করেন, নিয়মিত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও খাওয়ান। কিন্তু এলাকার কিছু নিরাপত্তারক্ষী কোনো কারণ ছাড়া প্রায়ই কুকুরগুলোকে লাঠি দিয়ে মারেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তারক্ষীরা কুকুরের ক্ষতি করা হবে বলে তাকে হুমকি দেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে রোমানা কুকুরগুলোকে খাওয়াতে গেলে তাদের মধ্যে একটিকে খুঁজে পাননি।

ওই নারী বলেন, আমি তখন নিরাপত্তারক্ষীদের কুকুরটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। তারা প্রথমে কিছু জানার কথা স্বীকার করছিলেন না। পরে তারা জানান, কুকুরটি ট্রাকচাপায় মারা গেছে। খোঁজাখুঁজির পর আমরা এলাকার এম ব্লকের পেছনে কুকুরটির মরদেহ দেখতে পাই। কুকুরটির শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় বেল্টও ছিল না।