ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বেইমান-দালাল স্লোগানে শাহজাহান ওমরকে সুপ্রিমকোর্ট ছাড়া করলেন আইনজীবীরা

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেছেন ঝালকাটি-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। এসময় আইনজীবীরা তাকে উদ্দেশ করে বেইমান, দালাল বলে স্লোগান দেন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আসার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি আইনজীবী সমিতি ভবন ত্যাগ করেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহজাহান ওমর তার এক জুনিয়রকে আমার চেম্বারে পাঠান তার চেম্বারে যাওয়ার জন্য। আমি তার জুনিয়রকে বলে দেই, মোনাফেক, মীর জাফরের সঙ্গে আমি দেখা করতে যাবো না। আমি তার চেম্বারে দেখা করতে না যাওয়ায় শাহজাহান ওমর আমার চেম্বারে চলে আসেন। তিনি এসেই আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে কথা বলা শুরু করেন।

‘জানতে চান আমি কেন তাকে মোনাফেক-মীরজাফর বলেছি। আমি তাকে বলি আপনি বেইমান, মোনাফেক, মীরজাফর। এসময় সাধারণ আইনজীবীরা তাকে আমার চেম্বার থেকে ধাওয়া করেন। চেম্বার থেকে বের হয়ে কফিশপের সামনে দিয়ে বের হয়ে যান। এসময় সাধারণ আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।’ বলেন কামরুল ইসলাম সজল।

এ আইনজীবী বলেন, ‘বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার আসামি হয়ে কীভাবে পুলিশ প্রটোকলে সুপ্রিম কোর্টে এলেন। এই মোনাফেকের স্থান সুপ্রিম কোর্টে হবে না। এরই মধ্যে শাহজান ওমর সুপ্রিম কোর্ট ত্যাগ করে চলে যান।’

তবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেননি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।’

তবে প্রধান বিচারপতির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ পাননি।

গত ২৯ নভেম্বর বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় বিএনপির এই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। এরপর ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত হন। এখনো সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত শাহজাহা ওমরের পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

বেইমান-দালাল স্লোগানে শাহজাহান ওমরকে সুপ্রিমকোর্ট ছাড়া করলেন আইনজীবীরা

আপডেট সময় ০৩:১৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেছেন ঝালকাটি-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। এসময় আইনজীবীরা তাকে উদ্দেশ করে বেইমান, দালাল বলে স্লোগান দেন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আসার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি আইনজীবী সমিতি ভবন ত্যাগ করেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহজাহান ওমর তার এক জুনিয়রকে আমার চেম্বারে পাঠান তার চেম্বারে যাওয়ার জন্য। আমি তার জুনিয়রকে বলে দেই, মোনাফেক, মীর জাফরের সঙ্গে আমি দেখা করতে যাবো না। আমি তার চেম্বারে দেখা করতে না যাওয়ায় শাহজাহান ওমর আমার চেম্বারে চলে আসেন। তিনি এসেই আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে কথা বলা শুরু করেন।

‘জানতে চান আমি কেন তাকে মোনাফেক-মীরজাফর বলেছি। আমি তাকে বলি আপনি বেইমান, মোনাফেক, মীরজাফর। এসময় সাধারণ আইনজীবীরা তাকে আমার চেম্বার থেকে ধাওয়া করেন। চেম্বার থেকে বের হয়ে কফিশপের সামনে দিয়ে বের হয়ে যান। এসময় সাধারণ আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।’ বলেন কামরুল ইসলাম সজল।

এ আইনজীবী বলেন, ‘বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার আসামি হয়ে কীভাবে পুলিশ প্রটোকলে সুপ্রিম কোর্টে এলেন। এই মোনাফেকের স্থান সুপ্রিম কোর্টে হবে না। এরই মধ্যে শাহজান ওমর সুপ্রিম কোর্ট ত্যাগ করে চলে যান।’

তবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেননি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।’

তবে প্রধান বিচারপতির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ পাননি।

গত ২৯ নভেম্বর বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় বিএনপির এই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। এরপর ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত হন। এখনো সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত শাহজাহা ওমরের পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।