ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি কাতারের

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি অপরাধের বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে কাতার।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি এই আহ্বানের কথা জানান। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতার তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি অবরুদ্ধ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য কাতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েল ও হামাসকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার কার্যালয় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তকে ত্বরান্বিত করবে।

করিম খান ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে তার চার দিনের সফর শেষ করেছেন। তিনি গতকাল বলেন, সব পক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী তার কার্যালয় পদক্ষেপ নেবে। তখন কেউ যাতে অভিযোগ না করে।

মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই যুদ্ধবিরতিকালে ৮০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজা উপত্যকায় আবার প্রচণ্ড হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোববার গাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাঁদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে গত শনিবার নিরাশা দেখা দেয়। কারণ, কাতার থেকে ইসরায়েল তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আলোচকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাবন্দী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় নিয়ে তারা আর আলোচনা করবে না।

ট্যাগস :

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

গাজায় ইসরায়েলি অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি কাতারের

আপডেট সময় ১২:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি অপরাধের বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে কাতার।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি এই আহ্বানের কথা জানান। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতার তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি অবরুদ্ধ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য কাতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েল ও হামাসকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার কার্যালয় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তকে ত্বরান্বিত করবে।

করিম খান ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে তার চার দিনের সফর শেষ করেছেন। তিনি গতকাল বলেন, সব পক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী তার কার্যালয় পদক্ষেপ নেবে। তখন কেউ যাতে অভিযোগ না করে।

মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই যুদ্ধবিরতিকালে ৮০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজা উপত্যকায় আবার প্রচণ্ড হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোববার গাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাঁদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে গত শনিবার নিরাশা দেখা দেয়। কারণ, কাতার থেকে ইসরায়েল তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আলোচকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাবন্দী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় নিয়ে তারা আর আলোচনা করবে না।